বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ থাকার সময় ডেভ হোয়াটমোরের সঙ্গে মাশরাফি মুর্তজার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। হোয়াটমোর মাশরাফিকে ডাকতেন পাগলা বলে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) গুরু-শিষ্যকে বহুদিন পর আবার মিলিয়ে দিয়েছে।
রোববার মিরপুর একাডেমি মাঠে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে পুরোনো দিনে ফিরে যান তারা। ফরচুন বরিশালের টিম ডিরেক্টর হয়ে এসেছেন হোয়াটমোর। মাশরাফি সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক।
রোববার মিরপুরের একাডেমি মাঠে দুদলের অনুশীলন ছিল প্রায় একই সময়ে। সেখানেই দেখা হয় গুরু-শিষ্যের। হোয়াটমোর আগে মাঠে আসেন। মাশরাফি তাকে দেখে এগিয়ে যান। ক্যাপ দিয়ে মুখ ঢেকে দুষ্টুমি করতে করতে ধরা দেন কোচের সামনে। হোয়াটমোর তাকে চিনতে পেরে চওড়া হাসি দেন। এরপর কোচকে জড়িয়ে ধরেন মাশরাফি।
দুজনের মুখে সেই চিরাচরিত হাসি। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন হোয়াটমোর। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে মাশরাফির বিয়ের দাওয়াত খেতে নড়াইল পর্যন্ত গিয়েছিলেন হোয়াটমোর।
এদিকে টি ২০ ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স রসকে নিয়ে আলোচনা থাকে সব সময়ই। সুইপ শট তিনি দারুণ খেলেন। এ কারণে তার নামের পাশে ধারাভাষ্যকাররা ‘সুইপলজিস্ট’ উপাধি জুড়ে দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় তার পরিচয় ‘সুইপলজিস্ট’ হিসাবে। প্রথমবার বিপিএলে তিনি খেলবেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে। বিগ ব্যাশে তার দল সিডনি থান্ডার প্লে-অফে জায়গা করতে না পারায় বিপিএলে এসেছেন।
টানা দুদিন খেলার পর কাল কোনো ম্যাচ ছিল না। আগামীকাল দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ম্যাচে বেলা দেড়টায় দুর্দান্ত ঢাকার প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে। প্রথম ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা খুলনার মাহমুদুল হাসান জয়কে অনেকেই টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে বিবেচনা করেন। কিন্তু মাহমুদুলের ধারণা, টেস্ট ক্রিকেটারের জন্য টি ২০ কঠিন কিছু নয়।
কাল তিনি বলেন, ‘একজন টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে বলব, এটা কঠিন কিছু নয়। যারা টেস্ট খেলতে পারে তারা ওয়ানডে ও টি ২০ও ভালো খেলতে পারে। আমার সেই আÍবিশ্বাস আছে। টি ২০ ফরম্যাটেও ভালো করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এই ফরম্যাট মোটেই কঠিন মনে হয় না। বিপিএলের শেষ দুই মৌসুমে আমি খেলেছি। আমার স্ট্রাইক রেট ও গড় ভালো ছিল।’
আরও পড়ুুন
>> হোয়াটমোরের সেরা টেস্ট একাদশে আছেন যারা
>> মাশরাফি-সাকিবদের সাবেক কোচ হোয়াটমোর নতুন দায়িত্বে