কনকনে শীতের বিকালে কমলাপুর স্টেডিয়ামে উষ্ণতা ছড়াল ফুটবল। আগের দিন ঢাকায় আসা ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার কাল কাজে নেমে গেলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এলিট একাডেমির ৫৬ জন ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়েস্ট হামের সাবেক এই মিডফিল্ডার।
বাটলার বলেন, ‘জাতীয় দলের কোচের (লাইবেরিয়া ও বতসোয়ানা) দায়িত্ব পালন করে কেন একাডেমির কোচ হলাম, এমন প্রশ্ন শুনে আমি অবাক হইনি। আমি এই অঞ্চলে কাজ করেছি। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলোয়াড় জোগান দিতে আমি এসেছি। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে ভালো লেগেছে, তাই এই দায়িত্ব নেওয়া।’
বাফুফের সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি এলিট একাডেমির প্রধান ছিলেন। একাডেমির ফুটবলাররা ব্রিটিশ ফুটবল মডেল ও কোচিংয়ে অভ্যস্ত। পিটার ব্রিটিশ হলেও নিজেকে সেই মডেলে আবদ্ধ রাখতে চান না। তার কথায়, ‘আমি উন্মুক্ত। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমি অনুশীলন করাব।’
পল স্মলি খেলোয়াড় সন্ধানে বাংলাদেশের কোনো জেলায় যাননি। নতুন কোচ জেলায় যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন, ‘আমি শুনেছি বাংলাদেশে ৬৪টি জেলা। প্রতিটি জেলায় যাওয়া সম্ভব নয়। টুর্নামেন্ট হলে আমি অবশ্যই কয়েকটি জেলায় যাব প্রতিভার সন্ধানে।’ বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘তার কাছে আমাদের একটাই চাওয়া, মানসম্পন্ন ফুটবলার তৈরি করে বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
একাডেমিতে এখন ৫৬ জন ফুটবলার অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৭। আরও ফুটবলার চায় বাফুফে। আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের একাডেমি কাপ চলমান রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টেও বেশ কয়েকজন মেধাবী ফুটবলারের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওখান থেকেও কয়েকজনকে একাডেমিতে নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য, একাডেমিতে একশ ফুটবলার রাখা।’