নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। নেপিয়ারে বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতলেও মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়।
একই মাঠে রোববার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। এই হারে সিরিজ ১-১ এ ড্র করে দেশে ফিরছেন নাজমুল হোসেনরা।
সিরিজ জেতা না হলেও এবারই প্রথম নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল টাইগাররা। এই সফরকে তাই সফলই বলছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
সিরিজ শেষে তিনি বলেন, ‘সিরিজের শুরুতে আমরা কথা বলেছি যে, আগে আমরা এখানে কেমন করেছি এবং এবার ভালো কিছু করতে চাই। সেদিক থেকে বলব এটা খুবই সফল সফর।’
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। মন্থর উইকেটে মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ১৩০-১৪০ রান হলেও গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। এই অল্প রান নিয়েও দারুণ লড়াইয়ের আভাস দেন বোলাররা। মাত্র ৪৯ রানেই নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেট তুলে নেন। ষষ্ঠ উইকেটে মিচেল স্যান্টনার ও জিমি নিশাম দারুণ জুটিতে কিউইদের এগিয়ে নিয়ে যান।
কোচ বলেন, ‘ইনিংসের দুই ওভারের পরই আমরা আলোচনা করেছিলাম এই উইকেট ১৪০-১৫০ রানের। আমরা সেটাও করতে পারিনি। ভালো ব্যাট করিনি আমরা। রানের ঘাটতি আমাদের ছিল। তারপরও বোলাররা আমাদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিল। সিরিজজুড়ে ছেলেরা যেভাবে বল করেছে সেটা দারুণ কিছু ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সিরিজ জিততে না পারায় ক্রিকেটাররা হতাশ। আমরা সবাই জিততে চাই। সিরিজ জয়ের সুযোগ আমরা নিজেরাই তৈরি করেছিলাম। তবে এই উইকেটে যথেষ্ট রান আমরা করতে পারিনি।’
বাংলাদেশের এই দলটি তরুণ। ইনজুরি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটাররা নেই। একই সঙ্গে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন। ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে সবাই।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের মানসিকতা এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। এই তরুণ দলটির কোনো ভয়ডর নেই। মাঠে নেমে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটা ব্যাপার হলো, শান্তর নেতৃত্ব। সে অসাধারণ ছিল। ট্যাকটিক্যালি সে নিখুঁত ছিল। ক্রিকেটারদের বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব স্বচ্ছ ছিল তারা কী আশা করতে পারে এবং তাদের কাছ থেকে তার প্রত্যাশা কী। এছাড়াও এবার মৌলিক ব্যাপারগুলো আমরা আগের চেয়ে লম্বা সময় ধরে ঠিকঠাক করেছি।’
আপাতত দুই মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের পরপরই শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।