কারও বাবা নেই। কারও মা। কেউ মানুষ হচ্ছে অন্যের পরিবারে। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্য অনেকেই রোজগারের পথ বেছে নিয়েছে। এসব সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীদের ফুটবলে এনে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ। ১৩-২০ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিস কেরানীগঞ্জের সুবিধাবঞ্চিত ৩০ জন কিশোরীকে নিয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
কামরাঙ্গীরচরের ঠোডা মাঠে আটদিন প্রশিক্ষণ দেন ফিফার এলিট ও এএফসির বি-লাইসেন্সধারী কোচ মো. শাহাবুদ্দিন। পরে ৩০ জন কিশোরীকে দুই ভাগে ভাগ করে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে খেলা শেষে কিশোরীদের হাতে সনদ তুলে দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. সাইদুল ইসলাম।
ইউনিসেফের চাইল্ড প্রটেকশন মোবিলাইজার নাসরিন আক্তার বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরের বস্তিতে থাকা এসব মেয়ে কখনো ফুটবল খেলেনি। কিন্তু তাদের প্রশিক্ষণ ও খেলা দেখতে উপচেপড়া ভিড় ছিল।’ তিনি যোগ করেন, ‘প্রথম দিকে মেয়েদের খেলায় আনতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। মেয়েরা মাঠে খেলবে বলে লজ্জা পাচ্ছিল। তাদের মায়েদের সঙ্গে মিটিং করেছি। তিনদিন মিটিং করার পর মেয়েদের টি শার্ট ও হাফপ্যান্ট দিয়েছি। আমরা বুট দিতে পারিনি। বুট ছাড়াই তারা অনুশীলন করেছে এবং খেলেছে।’
কিশোরীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নাসরিন বলেন, ‘এরা নিয়মিত অনুশীলন করবে। খেলাধুলার পাশাপাশি স্কুলে যাবে। পড়াশোনা করবে। তাদের প্রতি কেউ যদি সহিংস আচরণ করতে চায়, তারা তা প্রতিরোধ করবে। শিশু সুরক্ষা বিষয়ে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছি। আগামীতে আÍরক্ষার কৌশল নিয়ে তাদেরকে একটি সেশন করানো হবে।’