পাকিস্তানের বাবর আজম। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন, ইংল্যান্ডের জো রুট আর ভারতের বিরাট কোহলি- এই চারজনকে একত্রে বলা হতো ফ্যাবুলার ফোর, সংক্ষেপে ফ্যাব ফোর। ক্রিকেট দুনিয়ায় লম্বা সময় ধরে প্রচলন ছিল ‘ফ্যাব ফোর’ কথার।
তবে এই চারজনের সাম্রাজ্যে ভাগ বসাতে এসেছিলেন আরেকজন। তিনি পাকিস্তানের বাবর আজম।
দুর্দান্ত ব্যাটিংশৈলী দিয়ে সবার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার। দ্রুতই জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা ব্যাটারদের তালিকায়।
এমনকি ২০২৩ সালেও ওয়ানডের সেরা ব্যাটার ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। তবে একই বছরে সাদা পোশাকের বাবর আজম যেন বড্ড বেশি অচেনা কেউ।
বিদায়ী বছরেও রানের দিক থেকে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন বাবর আজম। গত বছর ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ২০২৩ এর শুরুতেই এই ফরম্যাটে নিজেকে যেন হারিয়েই ফেললেন বাবর। সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টেও রান আসেনি তার ব্যাটে। দলের বড় রকমের ভরাডুবির জন্য তার উপরেও খানিক দায় বর্তায়।
জানুয়ারিতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দুই ইনিংসে করেছিলেন ২৪ এবং ২৭। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ৩ বার ব্যাট হাতে নামতে হয়েছিল তাকে।
সেখানে রান ১৩, ২৪ এবং ৩৯। মাঝে আর টেস্ট খেলা হয়নি পাকিস্তানের। শেষ পর্যন্ত খেলতে হয়েছে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যেখানে দুই ইনিংসে বাবরের রান ২১ এবং ২৪।
বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, ২০২৩ সালে বাবর খেলেছেন ৭ ইনিংস। তাতে রান করেছেন মোটে ১৬২। গড় ২৩ এর কিছু বেশি।
পুরো বছরটা বাবরের জন্য ঠিক কতটা বিবর্ণ ছিল, তারই একটা নমুনা হয়ে থাকবে, এসব সংখ্যা। একইবছর ওয়ানডে বিশ্বকাপেও হাসেনি তার ব্যাট। ব্যাপক সমালোচনার মুখে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তার অধিনায়কত্ব।
চলতি বছর মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তান। সেখানে বাবর নিজের ভাগ্য বদল করতে পারেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।