ভারতে গর্বের সঙ্গে বলি আমি মুসলিম: মোহাম্মদ শামি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
গত মাসে ভারতে শেষ হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেছেন দেশটির তারকা পেসার মোহাম্মদ শামি। টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচ খেলা হয়নি তার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পাওয়ার পর তাকে আর থামানো যায়নি।
ধারাবাহিক উইকেট শিকার করে ভারতকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই তারকা পেসার। আসরে মাত্র ৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট শিকার করেন এই মুসলিম তারকা।
গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় ভারত। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান করে ভারত। টার্গেট তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ শামির গতির মুখে পড়ে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই অলআউট হয় শ্রীলংকা। সেই ম্যাচে ৫ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে সেজদা দিতে গিয়েও মাঝপথে থমকে যান শামি।
সেই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সমালোচনা করেন। সেই সমালোচকদের উদ্দেশ্যে ভারতীয় এই মুসলিম তারকা পেসার বলেন, ‘আমি যদি সত্যি সত্যি প্রার্থনা করতে চাইতাম, কে আমাকে আটকাত? আমি তো প্রার্থনা করা থেকে বিরত থাকি না। যদি আমি প্রার্থনা করতে চাই, অবশ্যই করব। এতে সমস্যা কোথায়?’
ভারতের হয়ে ১০১টি ওয়ানডে, ৬৪টি টেস্ট আর ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যে ৪৪৮ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি।
৩৩ বছর বয়সী এই তারকা পেসার আরও বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বলি আমি মুসলিম, আমি গর্বিত যে আমি ভারতীয়। সমস্যা কোথায়? প্রার্থনা করার জন্য যদি কারো অনুমতি প্রয়োজন হয়, তাহলে এই দেশে (ভারতে) থাকব কেন! এর আগে কি কখনও পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর প্রার্থনা করেছি? আমি বহুবার পাঁচ উইকেট নিয়েছি। আপনি আমাকে বলুন কোথায় গিয়ে প্রার্থনা করতে হবে। আমি সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করব।’
শামি আরও বলেন, ‘যারা এখন সমালোচনা করছেন তারা আসলে কারো পক্ষে থাকে না। তারা স্রেফ বিতর্কের জন্য এরকম করে থাকেন। সেই ম্যাচে আমি ২০০ শতাংশ দিয়ে বোলিং করেছিলাম। খুব দ্রুত উইকেট পড়ছিল। তিন উইকেট নেওয়ার পর ভেবেছিলাম পাঁচ উইকেট নিতে হবে। বহুবার ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করলেও উইকেট পাচ্ছিলাম না। সেই কারণেই ক্লান্ত হয়ে পারছিলাম। পুরো ছন্দে বোলিং করছিলাম। তাই পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর মাটিতে বসে পড়ি হাঁটু গেড়ে। এতে অন্য অর্থ বের করে ফেলেছে কয়েকজন। যারা এভাবে কোনওকিছুর ভুল ব্যাখ্যা করেন, তাদের আর কোনও কাজ নেই।’