আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী
‘বাদল রায়ের অভাব পূরণ হওয়ার নয়’
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৪ পিএম
ফাইল ছবি
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া সাবেক তারকা ফুটবলার ও দক্ষ সংগঠক বাদল রায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের এই দিনে প্রয়াত হন তিনি। কুমিল্লার সুতাকল ক্লাব দিয়ে ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছিল বাদল রায়ের। ১৯৭৭ সালে আগা খান গোল্ডকাপ ফুটবলে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেন। থামেন ১৯৮৯ সালে। সাদা-কালোদের অধিনায়ক ছিলেন।
১৯৮২ দিল্লি এশিয়াডে তার জয়সূচক গোল রয়েছে ভারতের বিপক্ষে। ইনজুরির জন্য বাদল রায়ের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন। ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মাঠ ছাড়ার পরও সংগঠক হিসাবে ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: এ যেন ড্র নয়, অমৃততুল্য জয়
ক্যারিয়ারে যেমন মোহামেডানকে আঁকড়ে ধরেছিলেন, ক্রীড়া সংগঠক হিসাবেও সাদা-কালো শিবিরে ছিলেন। ক্লাবটির ম্যানেজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে ছিলেন লম্বা সময় ধরে। বাফুফের সহসভাপতি পদও রাঙিয়েছিলেন এই সাবেক ফুটবলার।
জীবনের শেষবেলা পর্যন্ত বাফুফের সব ধরনের অন্যায়, অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ২০১৯ সালে ‘ক্যাসিনো-কাণ্ডে যখন ধ্বংসের মুখে মোহামেডান, তখন তিনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রিয় সাদা-কালো শিবিরের। অভিমান করে দূরে সরে থাকা একঝাঁক সাবেক তারকাকে জড়ো করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য সামনে রেখে।
বাদল রায়কে ভোলেননি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু। তার কথায়, ‘বাবলু ভাই, তুমি কোথায়?’ বাদলের এই ডাক আজও আমার কানে বাজে। দেখতে দেখতে তিনটি বছর কেটে গেল, বাদল আমাদের মাঝে নেই। মনে হয় এই সেদিনও ওকে আমি দেখেছি। খুব মিস করি ওকে।
বাদল ছিল আপাদমস্তক একজন ফুটবলার। তার জন্মই হয়েছিল ফুটবলের জন্য। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মোহামেডানে খেলেছে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাদা-কালোর হয়েই ছিল সে। ফুটবলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সোচ্চার ছিল বাদল।’
বন্ধু বাদল রায়কে মিস করেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফারও। তার কথায়, ‘১৯৭৭ সাল থেকে বাদল রায়ের সঙ্গে পথচলা শুরু আমার। একসঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। খুব ভালো বন্ধু ছিল আমার। একজন সুপার স্টার ফুটবলার যাকে বলে, তা-ই ছিল বাদল রায়। ডাকসুর রাজনীতি, খেলা এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) আমরা একসঙ্গে পথ চলেছি অনেকটা। তিন বছর হলো বাদল চলে গেছে। তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়।’