তামিম ইকবাল বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়ে দিলেন, তাকে বাদ দেওয়ার জন্য কিছু ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম।
এ প্রসঙ্গে সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানালেন, সব পেছনে ফেলে এখনই এগিয়ে যাওয়ার সেরা সময়। আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করছেন, ওপেনিং ছাড়া বাকি দল ঠিকই আছে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা মোহাম্মদ আশরাফুল যুগান্তরকে বলেন, ‘তামিম ইকবাল ছাড়া দল ভালো হয়েছে। এর বাইরে আর কেউ নেই, যাকে নেওয়া যেত। তামিম না থাকায় ওপেনিং একেবারে জিরো বলা যায়। আশা করা টাই কঠিন। তানজিদ হাসান তামিম খুবই ভালো খেলোয়াড় জানি। কিন্তু এখনও বড়দের হয়ে সে কিছু করতে পারেনি। লিটন ফর্মে নেই। ব্যাকআপ হিসাবে আছে লোয়ার মিডল অর্ডারের মেহেদী হাসান মিারাজ। মিরাজ অবশ্য নিজিকে প্রমাণ করেছে।’
তামিমের বিশ্বকাপ দলে না-থাকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এই বাঁ-হাতি ওপেনার ফেসবুক লাইভে এসে তার সাথে যা ঘটেছে সবকিছু পরিস্কার করেছেন।
তামিমের বিষয় নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘এটা বোঝাই যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে কেউ তামিমকে নিতে চায়নি। আর বিশ্বকাপের মতো আসরে যদি তাকে কেউ নিতে না চায় তাহলে সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভালো। বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্সও ভালো না। আবার ইনজুরিরর কথাটা উঠিয়েছে হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে নিতে চায়নি।’
তিনি বলেন, ‘তবে আঘাত পাওয়ার পরও মানসিকভাবে সে শক্ত হতে পারেনি। তামিম যদি বলতো সে বিশ্বকাপ খেলবেই তাহলে কিছু করার ছিল না কারো। এছাড়া সবার সামনে ইনজুরির বিষয়টা বারবার আনা উচিত হয়নি।’
খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘যেটা হয়ে গেছে সেটা শেষ। নতুন একটা দিন শুরু করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী। আর কথা হবেই। কেউ বাদ পড়বে, কেউ ঢুকবে। এটা আমাদের সময়েও হয়েছে। সব সময়ই ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মাঠে নামলে সারা দেশ তখন খেলে। সবাই নামাজ পড়তে, দোয়া করতে শুরু করে। আমাদের প্রতি সবার সেই বিশ্বাসটাই অটুট থাকুক। অনেকে বলবে ছোট একটা ছেলে যাচ্ছে কিন্তু তার ভালো করার সমার্থ্য আছে বলেই নির্বাচকরা দলে নিয়েছেন। এখন বিশ্বাস করতে হবে যে ১৫জনকে নেওয়া হয়েছে, এরাই সেরা দল। দেশবাসীকে আস্থা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দারুন একটি দল। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে তারুন্যের মিশেল। সিনিয়ররা একটা কথা বলেছে, এখন না পারলে কখন? এটাই আমাদের ভালো সময়।’