এশিয়া কাপে পেসার ইবাদত খেলবেন-এমনটা ধরেই স্কোয়াড সাজাচ্ছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি এই সিমারের। তার চোট সারেনি। চোটের উন্নতি না হওয়ায় এশিয়া কাপে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইবাদত হোসেনের ইনজুরিতে কপাল খুলে গেল তানজিম হাসান সাকিবের। ২০ পেরুনো সিলেটের এই তরুণ প্রথমবার জাতীয় দলের কোনো স্কোয়াডে ডাক পেলেন। আজ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার সকালে মেডিকেল বিভাগ থেকে প্রতিবেদন পেয়ে পরিষ্কার হয়ে যায় সব কিছু। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানান, 'ইবাদতকে ছয় সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু একাধিক এমআরআই করে আমরা দেখেছি তার এখনো চোট রয়ে গেছে। কাজেই তিনি এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন।'
এবাদতকে নিয়ে তাড়াহুড়া করতে চায় না বিসিবি। দেবাশীষের ব্যাখ্যা, ‘অক্টোবরে আইসিসি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ দলের জন্য পরবর্তী বড় টুর্নামেন্ট। তার আগে এবাদতকে পূর্ণ ফিটনেস ও খেলায় ফেরাতে বিসিবি চিকিৎসার সব রকম নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারটিও এর আওতাভুক্ত।’
ইবাদত ছিটকে যাওয়ায় তানজিমই আলোচনায় ছিলেন। স্ট্যান্ডবাইতে থাকা ডানহাতি এই পেসারকে দলে নিতে দ্বিধা করেননি নির্বাচকরা। তানজিম ডাক পাওয়ায় বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে এখন যুব বিশ্বকাপ জেতা পাঁচ ক্রিকেটার জায়গা পেলেন।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন ইবাদত। এরপর দীর্ঘদিন পুনর্বাসনে ছিলেন। সেরে উঠে তাকে এশিয়া কাপে পাওয়ার আশা ছিল নির্বাচকদের। কিন্তু তার চোটের অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় আশাহত হতে হয় নির্বাচকদের।
আরও পড়ুন
অনুশীলন ছেড়ে অসুস্থ মায়ের পাশে মাহমুদউল্লাহ
এদিকে সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারই পেলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। মোট ৩ ম্যাচ খেলে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট। যেখানে ওমানের বিপক্ষে ১৮ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।
এখনও পর্যন্ত লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৭টি। যেখানে প্রায় ২৯ গড়ে শিকার করেছেন ৫৭ উইকেট। এই সময়ে তিনি বোলিং করেছেন ৫.৪৪ ইকোনোমিতে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসের সঙ্গে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর সাকিব। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৩৭ ম্যাচে প্রায় ১২ গড়ে করেছেন ১৫৩ রান।
এশিয়া কাপের জন্য ১৭ জনের স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তাসকিন আহমেদ, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাঈম শেখ।