মাঠে গড়াচ্ছে ৫ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের শেষ টেস্ট। চার ম্যাচ শেষে এখনো পিছিয়ে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, মর্যাদার ছাইদানি থাকছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। অবশ্য এমন সমীকরণের সামনেও হাল ছাড়তে নারাজ ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। জানিয়েছেন, ৩-১ এ সিরিজ শেষ করার চেয়ে ২-২ সমতায় রাখাই তার পছন্দ।
তবে শেষ টেস্টের আগে ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছেন স্টোকস নিজেই। হাঁটুর পুরাতন ব্যাথা আবারও দেখা দিয়েছে তার। বাধ্য হয়ে তাই অ্যাশেজ শেষ করেই অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতে চান এই অলরাউন্ডার। নিজেকে দীর্ঘমেয়াদে ফিট রাখার তাগিদেই এমন সিদ্ধান্ত স্টোকসের।
হাঁটুর এই ব্যাথার কারণে শেষ টেস্টে বোলিং থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টের পর থেকেই অবশ্য এই সিরিজে বল হাতে দেখা যায়নি স্টোকসকে। লর্ডসে অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে টানা ১২ ওভার বল করেছেন। চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে টানা পাঁচ ঘন্টা ব্যাট করেছেন। লর্ডস টেস্টের সেই ধকলটাই আর কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি তার জন্য।
টেস্ট শুরুর আগে গতকাল ওভালে অফস্পিন বল করতে দেখা গিয়েছে স্টোকসকে। বল করার জন্য তিনি যে ফিট নন, তাই আরেকবার স্পষ্ট হয়েছে কাল।
অস্ত্রোপচারের ইস্যুতে স্টোকস বলেছেন, ‘সমস্যাটার দ্রুত সমাধান করে ফেলতে চাই। আমি যখন চিকিৎসকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি, তখন সিরিজ চলছিল। সুতরাং ওই সময় করানোর সুযোগ পাইনি। সুতরাং সময় বুঝে করে ফেলা উচিত কাজটা। তবে আমি মনে করি, এখন সময়টা এর উপযোগী। এখন আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব। কী করলে আমি কোনো প্রচার দুশ্চিন্তা ছাড়াই বোলিং করতে পারব।’
গত বছরেই সাদা বলের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বিশ্বকাপ জেতা এই অলরাউন্ডার। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তাকে দেখতে পাবার সম্ভাবনাও কম। স্টোকসকে আবার মাঠে দেখা যেতে পারে ২০২৪ এ ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। তার আগে অস্ত্রোপচার আর পুনর্বাসন দুটোই শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
তবে এসব ছাপিয়ে ইংলিশ অধিনায়কের চোখ ২০২৫ সালের অ্যাশেজের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই টেস্টেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার প্রত্যাশা তার, ‘এবারের অ্যাশেজ জয়ের খুব কাছেই ছিলাম। আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় যাব, তখন সেখানে সাম্প্রতিক অতীতের সিরিজগুলোর চেয়েও ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আশা করছি, ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের একটা ভালো সম্ভাবনা থাকবে।’