চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হার এড়াতে পারেননি টাইগাররা। ৩৩২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় ১৪২ রানে হারে বাংলাদেশ। এই পরাজয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া করল সাকিবরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে জয় পায় আফগানিস্তান। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরি এবং ফজলহক ফারুকি ও মুজিব উর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে ১৪২ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানরা।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে ১২৫ বলে ১৩টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ১৪৫ রান করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
এছাড়া ১১৯ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ বলে ২৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
৩৩২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান।
৪ উইকেটে ৬৫ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে হারায় তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনের উইকেট।
৭২ রানে ৬ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই জুটিতেই ৬২ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে ক্যারিয়ারে ৪৫তম ফিফটি পূর্ণ করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক।
১০৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়ার পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পরেন মিরাজ। তার আগে ৪৮ বলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ২৫ রান।
নয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে ৪ রানে ফেরেন পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ বলে ২০ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যায় মুশফিকুর রহিম।
৪৩.২ ওভারে দলীয় ১৮৯ রানে আউট হন মুশফিক। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৮৫ বলে ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
এর আগে বোলিংয়ের সময়ে গুরুতর চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন পেস বোলার এবাদ হোসেন। যে কারণে তিনি আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি।