আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তাকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে ঠেকাতে কম চেষ্টা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কিন্তু বিসিবির কোনো চেষ্টাই কাজে আসেনি। বিসিবির অনুরোধে সাড়া না দিয়ে শেষপর্যন্ত অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল।
তামিমের অবসর নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, এ ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করব না। আমরা বিষয়টা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব, তামিমের সঙ্গেও কথা বলব। তারপর ৮ জুলাই এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাব।
বুধবার আফগানিস্তান সিরিজ শুরুর ঠিক আগের দিন চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের তামিম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে কিছু কথা জানাতে চান। এরপর থেকেই শুরু হয় কৌতূহল।
বুধবার চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হারে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এদিন রাতেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানসহ বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানতে পারেন পরদিন বৃহস্পতিবার তামিম সংবাদ সম্মেলন করবেন।
তারপর থেকেই তারা তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তারা ফোন করার পাশাপাশি তামিমকে মোবাইলে খুদে বার্তাও পাঠান; কিন্তু বিসিবির কর্তাব্যক্তিদের কারো ফোন ধরা তো দূরে থাক, খুদে বার্তার জবাবও দেননি তামিম।
বৃস্পতিবার সকালে তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বিসিবির দুই পরিচালকের। মুঠোফোনে তারা তামিমকে অবসরের সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেন। তামিমকে তারা বলেন, ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রাখার চিন্তা বিসিবির। এছাড়া একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেও তামিম চাইলে অনায়াসে আরও দুই-তিন বছর ক্রিকেট খেলতে পারেন।
তামিম তবু নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকার কথা জানান বিসিবি কর্তাদের। একপর্যায়ে বোর্ড কর্মকর্তারা তাকে এটাও বলেন- প্রয়োজনে আফগানিস্তান সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে তিনি বিশ্রাম নিতে পারেন। তার কোমরে যে ব্যথা রয়েছে ফিটনেস কাটিয়ে উঠতে এশিয়া কাপের আগে চিকিৎসাও করাতে পারেন, যেন এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপে পুরো ফিট হয়ে খেলতে পারেন। তামিম কোনো কিছুতেই সাড়া দেননি। আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দিয়ে হোটেল থেকে সরাসরি বাসায় ফিরে যান।