লিসবনের হোসে আলবালাদে স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে সেনেগাল। শুরুতে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন লুকাস পাকুয়েতা। কিছুক্ষণ পরই সেনেগালকে সমতায় ফেরান হাবিব দিয়ালো। বিরতির পর নিজেদের জালে বল পাঠান মার্কিনিওস।
এর পর সাদিও মানের গোলের পর সেলেসাওদের হয়ে এক গোল শোধ দেন মার্কিনিওস। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করে সেনেগালের ৪ গোল পূর্ণ করেন মানে।
আক্রমণে দাপট দেখিয়ে ম্যাচ শুরু করা ব্রাজিল এগিয়ে যেতে পারত সপ্তম মিনিটেই। তবে ব্রুনো গুইমারেসের বুলেট গতির শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। তিন মিনিট পর দলকে এগিয়ে নেন পাকুয়েতা। বক্সের বাইরে থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দেওয়া ক্রস হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ওয়েস্ট হ্যামের এই মিডফিল্ডার।
সপ্তদশ মিনিটে বক্সে ভিনিসিউস ফাউলের শিকার হয় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যদিও ভিএআর সেটি বাতিল করে দেয়। ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরে সেনেগাল। জ্যাকবের নেওয়া ক্রস বক্সে থাকা ব্রাজিল ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে আসে দিয়ালোর পায়ে। সহজ শটে বল জালে পাঠাতে ভোলেননি তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক শট নেন দানিলো। সেটি অবশ্য ঝাঁপিয়ে ঠেকান সেনেগাল গোলরক্ষক।
বিরতির পর এগিয়ে যায় সেনেগার। ৫২তম মিনিটে সাদিও মানে ক্রস বাড়ান দিয়ালোর উদ্দেশে। কিন্তু ডিফেন্ডারদের জটলার মধ্যে পা লাগিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান মার্কিনিওস। দুই মিনিট পর বক্স থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান সেনেগাল ফরোয়ার্ড মানে।
৫৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায় ব্রাজিল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন মার্কিনিওস। সমতায় ফিরতে মরিয়া ব্রাজিল বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালায়। তবে জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হয় তারা। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বক্সে প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন এদেরসন। সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৪-২ করে মাঠ ছাড়েন মানে।