আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি ভেবেছিলেন বলটা বাউন্সার হবে। গতি বুঝতে না পেরে আগেই বসে পড়েন তিনি। কিন্তু সেই ডেলিভারি খুব বেশি উঠেনি। সরাসরি গিয়ে আঘাত করে শহীদির হেলমেটে।
আঘাত পেয়ে মাঠের মধ্যেই শুয়ে পড়েন আফগান দলপতি। সঙ্গে সঙ্গে ফিজিও ঢুকেন শুশ্রুষার জন্য। তার মাথায় আইসব্যাগ দেওয়া হয়। চেষ্টা করা হয় প্রাথমিক চিকিৎসায় সারিয়ে তুলতে।
কিন্তু শহীদি বসা থেকে আবার শুয়ে পড়েন। ফলে স্ট্রেচার আনার ইশারা করেন ফিজিও। স্ট্রেচার আনা হয় মাঠে।
খানিক পরে শহীদি জানান, তিনি হেঁটে বাইরে যেতে পারবেন, স্ট্রেচার লাগবে না। তবে ব্যাটিংটা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে শহীদি (১৩) উঠে গেছেন। ক্রিজে এসেছেন নাসির জামাল।
আফগানিস্তানের মাথার ওপর হিমালয়সম লক্ষ্য, ৬৬২ রানের। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করা প্রায় অসম্ভব। তবে প্রতিরোধ গড়তে যেমন শুরু দরকার ছিল, সেটাও করতে পারলো না আফগানরা। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সফরকারী দল।
ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তার ডেলিভারি ইব্রাহিম জাদরানের প্যাডে লাগার পর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। জাদরান (০) অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। দেখা যায় বল সরাসরি তার লেগ স্টাম্পে আঘাত করতো।
পরের ওভারে আরেক পেসার তাসকিন আহমেদের আঘাত। এবার তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ আবদুল মালিক (৫)।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮ রান। রহমত শাহ ৯ আর নাসির জামাল ১ রানে অপরাজিত আছেন।
মিরপুর টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তোলার পর অধিনায়ক লিটন দাস থামার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৬৬১ রানের। অর্থাৎ এই টেস্টে জিততে হলে ৬৬২ করতে হবে আফগানদের। যদিও টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড ৪১৮ রানের।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন দুজন-নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। শান্ত ১২৪ করে ফিরলেও মুমিনুল শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১২ চার আর ১ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি। ৮১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।