শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশের জয়। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৭৪ রানের পুঁজি নিয়ে দারুণ বোলিংয়ে ৫ রানের অবিশ্বাস্য জয় পায় টাইগাররা।
এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়ালেও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে যায় আয়ারল্যান্ড। সেবারও সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। বাংলাদেশ রেকর্ড ৩৪৯ রান করেও সেই দিন বৃষ্টির কারণে জয় বঞ্চিত হয়।
রোববার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৭ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৫ রান করে করেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১৭ রানে ফেরেন স্টেফেন ডোহানি। এরপর অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নিকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার পল স্টারলিং।
তাদের এই জুটিই দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। জুটির বিচ্ছেদ ঘটান পেস বোলার এবাদত হোসেন। তার শিকার হয়ে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি ৭৮ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন।
ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া পল স্টারলিংকে ৬০ রানের বেশি করতে দেননি অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
বলবার্নি ও স্টারলিং আউট হওয়ার পর দলকে জয়ের পথেই রাখেন হ্যারি টাকার ও লরকান টাকার। ৪৫ ও ৫০ রান করে লরকান টাকার ও হ্যারি টাকার আউট হওয়ার পরও খেলায় ছিল আইরিশরা।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০ রান। হাসান মাহমুদের করা ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া মার্ক এডেয়ার। পরের বলে সিঙ্গেল রান নেয় আয়ারল্যান্ড।
তৃতীয় বলে ফের উইকেট শিকার করেন হাসান। এবার তার শিকার হন অ্যান্ডি ম্যাকবার্নি। জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। হাসান মাহমুদের শেষ বলে সিঙ্গেল রানের বেশি নিতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে ৫ রানের জয়ে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ।