জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। হারলে সিরিজে ড্র (১-১) করার সুযোগ পাবে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। এমন সমীকরণের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জয়ের জন্য আইরিশদের ২৭৫ রান করতে হবে।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৭ রান করেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৫ রান করে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস।
রোববার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে অভিষেক হয় রনি তালুকদারের। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খুললেও বেশি দূর যেতে পারেননি। ১৪ বলে ৪ রানেই ফেরেন।
এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৪৪ ও ১১৭ রানের ইনিংস খেলা শান্ত এদিন ফেরেন ৩২ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫ রানে।
৬৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন তামিম-লিটন। তৃতীয় উইকেটে তাড়া ৭৬ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ০ ও ২১ রানে আউট হওয়া লিটন এদিন ফেরেন ৩৯ বলে ৩৫ রান করে। তার বিদায়ে ২৩.৩ ওভারে ১৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। জর্জ ডকরেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরে এই তরুণ ব্যাটসম্যান। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ২৭ ও ৬৮ রানের ইনিংস খেলা হৃদয় এদিন ফেরেন ১৬ বলে ১৩ রানে।
ইনিংসের শুরু থেকেই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যান তামিম ইকবাল। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন দেশসেরা এই ওপেনার।
৮২ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৯ রানে ব্যাটিং করে যাওয়া তামিম ইকবালের ধৈর্যচ্যুতি ঘটান জর্জ ডকরেল। ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে ডকরেলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ক্রেইগ ইয়াংয়ের কাছে ক্যাচ তুলে দেন তামিম।
৩৩.৩ ওভারে ১৮৬ রানে তামিম আউট হওয়ার পর অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়েন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ষষ্ঠ উইকেটে ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৬১ ও ৩৬* রানের ইনিংস খেলা মুশফিক এদিন ফিফটির পথেই ছিলেন। আগের বলেই অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে স্লগ সুইপ করে ছক্কা হাঁকান।পরের বলে আবারো বড় শট খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হন। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি মুশফিকের।
৪৫.৩ ওভারে ২৬১ রানে মুশফিক আউট হওয়ার পর স্কুপ খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মিরাজ। ৩৯ বলে ৩৭ রানে দলীয় ২৬৫ রানে ফেরেন মিরাজ।
মিরাজ আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা দ্রুত আউট হয়ে গেলে পুরো ৫০ ওভার খেলা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।