৪ বছর দায়িত্বে থেকেও অধিনায়কত্ব শেখেনি বাবর: কামরান আকমল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:২৯ পিএম
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটার কামরান আকমল। তিনি বলেছেন, চার বছর অধিনায়কত্ব করার পরও কীভাবে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়, তা শেখেনি বাবর আজম। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয়, সেই দক্ষতা এখনো অর্জন করেনি অধিনায়ক।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি ড্রর পর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাবরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কামরান। খবর ক্রিকেট পাকিস্তানের।
এ সিরিজে একপর্যায়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। আইপিএল, চোট ও অন্যান্য কারণ মিলিয়ে সেরা দলের অন্তত ৭-৮ জনকে ছাড়া এই সিরিজ খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করেন কিউইরা। একটি ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
শেষ ম্যাচে ১৯৩ রানের পুঁজি গড়ার পর বোলিংয়ে প্রথম ওভারে ২ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। ১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৩। কিন্তু মার্ক চাপম্যান ও জিমি নিশামের অসাধারণ এক বিধ্বংসী জুটিতে ৫৮ বলে ১২১ রান যোগ করে জিতে যায় কিউইরা।
কামরান বলেন, চার বছর দায়িত্বে থেকে সে (বাবর আজম) জানে না কীভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয়। সে এমনকি এটাও জানে না যে কোন সময়ে কোন বোলারকে আক্রমণে আনতে হয়। একই ভুল বারবার করে তারা ম্যাচ হেরে যাচ্ছে, এটা মোটেও বিস্ময়কর নয়। আমরা তো নিজেদের ভুল কমাইনি, এজন্যই ওরা জিতে গেছে।
শেষ ম্যাচে নেতৃত্বের ঘাটতির কথা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করলেন আকমল। দুই বাঁহাতি চাপম্যান ও নিশাম যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন অফ স্পিনার ইফতিখার আহমেদকে বোলিং দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
কামরান বলেন, ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যানই যখন বাঁহাতি, তখন ইফতিখার আহমেদকে বোলিংয়ে আনাই হতো যৌক্তিক। কিন্তু আমরা দেখলাম, লেগ স্পিনার শাদাব খানকে বোলিংয়ে আনা হলো এবং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তাকে তুলাধোনা করে ছাড়ল। অথচ উচিত ছিল শাদাবকে বিশ্রাম দিয়ে আরেকজন অলরাউন্ডারকে দলে এনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া।
শাদাবকে সেদিন প্রথম বোলিংয়ে আনা হয় পাওয়ার প্লে শেষের পরের ওভারে। তখন বাঁহাতি চাপম্যানের সঙ্গে ডানহাতি ড্যারিল মিচেলও ছিলেন ক্রিজে। তবে স্ট্রাইকে থাকা চাপম্যান প্রথম দুই বলেই ছক্কা ও চার মেরে দেন শাদাবকে।
তাকে আবার আক্রমণে আনা হয় দ্বাদশ ওভারে। এবার একটি চার মারেন নিশাম, আবারও ছক্কা-চার মারেন চাপম্যান। শাদাবের ২ ওভারে রান আসে ২৯। ইফতিখারকে এ দিন বোলিংয়েই আনেননি বাবর।