আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর একের পর এক সেঞ্চুরি করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন একমাত্র কোহলির পক্ষেই সম্ভব শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা।
ইতোমধ্যে ৭৫টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যেতে আরও ২৫টি সেঞ্চুরি করতে হবে তাকে।
কিন্তু ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টেস্ট ম্যাচ সেঞ্চুরি করেন কোহলি। এরপর ১০২০ দিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি কোহিল। এই তিন বছরে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে না পারায় তাকে জাতীয় দল থেকেও বাদ দাবি ওঠে। কঠোর সমালোচনার কারণে মানসিক চাপে পাগল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় কোহলির।
অবশেষ ২০২২ সালে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করার মধ্য দিয়ে সেঞ্চুরির সেই খরা কাটান কোহলি।
সেই সময়ের তিক্ততা নিয়ে বিরাট কোহলি বলেন, আনুশকা বোঝে পাবলিক ফিগার হওয়ার জ্বালা ঠিক কতখানি। খুব কাছ থেকে গোটা ব্যাপারটা দেখেছে। তাই ওর সঙ্গে আলোচনা করাটা আমার কাছে অমূল্য; ও সবসময় আমাকে সত্যিটা বলে। সত্যি বলতে আমি এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছেছিলাম যে আমি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। আমাকে যদি সেটার সমাধান খুঁজতে হতো, তাহলে হয়ত আমি পাগল হয়ে যেতাম। হয়ত আরও বেশি নাভার্স এবং খামখেয়ালি হয়ে যেতাম। কিন্তু অনুশকা আমাকে আরও বেশি নম্র করেছে, আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি।
কোহলি আরও বলেন, মিথ্যা বলব না; কিন্তু বিষয়টা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। সেরা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে ঢুকে মনে হয়েছিল পরিবেশটা অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠেছে। সেই সময় ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
কোহলি আরও বলেন, ভক্তরা আমার কাছে কী চায়, আমাকে নিয়ে কী ভাবে সেটাই আমার মাথায় ঘুরত। তার প্রভাব আমার খেলার ওপর পড়ছিল। ওই সময় ব্রেক নেওয়াটা সত্যিই জরুরি হয়ে পড়েছিল।
বিরাট বলেন, ভামিকা (কোহলির মেয়ে) আমাকে শিখিয়েছে বর্তমানকে আগলে বাঁচতে। সেটা আমি ভুলে যাচ্ছিলাম।