দুর্নীতির কথা বলতেই মেজাজ হারান সালাম মুর্শেদী
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম
আর্থিক অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ফিফা)।
সোমবার মতিঝিলে বাফুফে ভবনে নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সিনিয়র সহসভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীর কাছে গণমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল,দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং যার কারণে সাধারণ সম্পাদক নিষিদ্ধ হয়েছেন ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সেই দায়টা আপনার ওপর বর্তায় কিনা?
এমন প্রশ্ন করতেই রেগে যান আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি উচ্চস্বরে বলেন, নো, কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি ভাষা ঠিক করেন। আসলে একটা জিনিস ক্রয় করতে সে প্রকৃত নিয়মটা ফলো করেনি। সবকিছুই কিন্তু ফিফার ৫১ পাতার রিপোর্টে লেখা আছে। তাই বলব কোনো দুর্নীতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ক্রয়ের পরিমাণটা কম ছিল নাকি প্রোপারলি হয়নি,যে কারণে এসবের তদন্ত হয়েছে। ফিফা থেকে, এএফসি থেকে লোক এসে এসব দেখেছে। কোথায় থেকে ক্রয় করা হয়েছে, সে কোম্পানি তারা দেখেছে। তাদের নিবন্ধন দেখেছন,তাদের ব্যবসার ব্যাকগ্রান্ড দেখেছেন। দেখে তারা সন্তুষ্ট হননি বলে এই নিষেধাজ্ঞা তারা দিয়েছেন।
জালিয়াতি প্রসঙ্গে সালাম মুর্শেদী বলেছেন, জালিয়াতি হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে করেছেন। তিনি একটা টাকা, একটা অর্থ বা একটা ডলার অমুক জায়গায় পাঠিয়েছেন। সেটা তার ব্যক্তিগত, ফুটবল ফেডারেশনের না। কিন্তু ফিন্যান্স কমিটির কোনো জালিয়তি নেই। সে এমন কিছু করেছেন বলেই তো নিষিদ্ধ হয়েছে। সে যদি সঠিকভাবে করতো তাহলে তো নিষিদ্ধ হতো না।
সোহাগের এই অপকর্মের কোনো দুর্নামের ভাগিদার আপনারা হবেন কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে সালাম মুর্শেদী বলেছেন, আমরা কোনো ব্লেইম নেবো না। কারণ, এটা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফিন্যান্স কমিটির ব্লেইন নয়। আবারো বলছি যে (সোহাগ) প্রপার প্রক্রিয়া ফলো করে নাই।
সাধারণ সম্পাদক এত কিছু করলেন, তা ফিন্যান্স কমিটি দেখতে পারলো না সেটা আপনাদের ব্যর্থতা নয়? জানতে চাইলে সালাম মুর্শেদী বলেন, এখানে ব্যর্থতা, সফলতার বিষয় নয়। সাধারণ সম্পাদক হয়েছে সর্বোচ্চ পোস্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে সালাম মুর্শেদী বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের কাছে প্রতিনিয়তই ফিফা-এএফসি থেকে চিঠি আসে। বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায়,আমরা জবাব দেই।