দুর্দান্ত তাসকিন আহমেদ। তার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম ৫ বলে ৩ উইকেট হারাল আয়ারল্যান্ড। ৪৮ বলে ১০৪ রানের টার্গেট তাড়ায় ২ ওভারে ৩২ রানের ঝড়ো শুরু করে আইরিশরা। এরপর ৮ রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট ।
আইরিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেস বোলার হাসান মাহমুদ। তার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন রস এডেয়ার। টানা তিন বল ডট দেওয়ার পর ইয়র্কার দেন হাসান। তার বলে স্টাম্প উপড়ে যায় এডেয়ারের।
এরপর আয়ারল্যান্ড শিবিরে পরপর আঘাত হানেন তাসকিন। তার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লরকান টাকার।
ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড পল স্টার্লিং। পঞ্চম বলে কাভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জর্জ ডকরেল। তাসকিনের হ্যাটট্রিক বলটা লং অফের ওপর দিয়ে তুলে চার মেরেছেন গ্যারেথ ডিলানি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রানের রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা ছিল; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই সম্ভাবনা ভেস্তে গেল।
১৯.২ ওভারে বৃষ্টি শুরুর আগে বাংলাদেশ করে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। শেষ ৪ বলে আর মাত্র ৯ রান করলেই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হতো।
এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২১৫ রান করে বাংলাদেশ।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪৩ বল মোকাবেলা করে ৯১ রানের জুটি গড়েন তারা।
মাত্র ২৩ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে ফেরেন লিটন। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ বলে ১৪ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৩.৬ ওভারে দলীয় ১৫৪ রানে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তার আগে ৩৮ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্য দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১৭২ রানে ২০ বলে দুটি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৩০ রান করে ফেরেন শামিম হোসেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২০১ রানে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ৮ বলে এক ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ১৩ রান।
১৯.২ ওভারে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২০৭ রান। ১৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২০ আর এক বলে ৪ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। খেলার এমন অবস্থায় শুরু হয় বৃষ্টি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।