
ভারতের সফল অধিনায়কদের মধ্যে অনত্যম হলেন বিরাট কোহলি। তার অধিনায়কত্বে ভারত আইসিসির কোনো শিরোপা জিততে না পারলেও টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অসংখ্য ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয় পেয়েছে।
কোহলির অধিনায়কত্বে ৬৮ টেস্টের মধ্যে ৪০টিতে জয় পেয়েছে ভারত; যা ভারতের রেকর্ড জয়। আর ওয়ানডেতে তার অধিনায়কত্বে ৯৫ ম্যাচের মধ্যে ৬৫টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ম্যাচের মধ্যে ভারত জয় পায় ৩০টিতে।
জাতীয় দলে অধিনায়ক হিসেবে সফল হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সবচেয়ে বেশি উজ্বল কোহলি। কিন্তু জাতীয় দলের মতো আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেতৃত্ব দিয়ে কোনো শিরোপা উপহার দিতে পারেননি কোহলি।
দলকে শিরোপা উপহার নিতে না পারলেও নিজেকে ব্যর্থ বলতে নারাজ কোহলি। তিনি বলেন, সবাই টুর্নামেন্ট জেতার জন্যই খেলে। সত্যি কথা বলতে, এই সাফল্যের মাধ্যমেই অনেক কিছু নির্ধারণ করা হয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা ফাইনাল, বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল খেলেছিলাম। আর আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি কখনই নিজেকে ওই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করিনি।
ভারতের হয়ে ৫৪৬ ইনিংসে ৭৪টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ২৪ হাজার ৯৩৬ রান করা কোহলি আরও বলেন, দল হিসেবে আমরা যা অর্জন করেছি, সংস্কৃতির যে পরিবর্তন এসেছে, এগুলোই আমার কাছে সবসময় গর্বের। কারণ টুর্নামেন্ট নির্দিষ্ট একটা সময়ে হয়, কিন্তু সংস্কৃতি গড়ে ওঠে দীর্ঘ দিন ধরে। এর জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। একটি টুর্নামেন্ট জিততে যতটা না দৃঢ়তা দরকার, তার চেয়ে বেশি দরকার সংস্কৃতি গড়তে।
অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে কোনো শিরোপা উপহার দিতে না পারলেও ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ও ২০১৩ সালে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন কোহলি।
৩৪ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ক্রিকেটার হিসেবে আমি ২০১১ বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি…এমন বহু ক্রিকেটার আছে, যারা কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। শচিন টেন্ডুলকার তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপে এসে শিরোপা জয়ের স্বাদ পান। আর ওটা ছিল আমার প্রথম বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আসরটি শেষ করি।