বিশ্ব ক্রিকেট এখন উত্তপ্ত মানকাডিং আউট বিতর্ক নিয়ে। বোলার বল করার আগে নন স্ট্রাইকার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে বোলার সেই ব্যাটারকে আউট করতে পারেন। এ আউট নিয়ে নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত ক্রিকেটবিশ্ব। অনেকেই বলছেন, এ আউট বৈধ, অনেকে আবার এর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) একটি বৈঠক করে বোলারদের পাশেই দাঁড়িয়েছে। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, নিয়ম মেনে বোলারদের ডেলিভারি সম্পূর্ণ করার আগে পর্যন্ত ব্যাটারদের উচিত ক্রিজে থাকা।
গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন ৪৪তম ওভারে ভারতের অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা ইংল্যান্ডের চার্লি ডিনকে মানকাডিং করে আউট করেন। ১৭০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ডিন তার দলকে জেতানোর উদ্দেশ্যে ৮০ বলে ৪৭ রানে ব্যাট করছিলেন। সেই সময় মানকাডিংয়ে আউট হন তিনি। ভারত ১৬ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।
সেই থেকে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে এসে দীপ্তি বলেন, আমরা ম্যাচে যাই করি না কেন মানকাডিং আউট করে এটা মনে হয়নি যে আমরা কোনো অপরাধ করেছি। এই আউট খেলার অংশ। আইসিসির নিয়ম। ম্যাচ চলাকালীন আমাদের মাথায় একটা জিনিস ঘোরে, ব্যাটারকে তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানে। তার জন্য যা যা দরকার তা আমরা করি।
এ ঘটনায় দীপ্তির পাশে দাঁড়ায় ভারতীয় দল ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর।
এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানায়, এইরকম কোনো বিষয় নেই যে বোলারকে ব্যাটারদের সতর্ক করতে হবে। এটা বোলারদের সম্পূর্ণ অধিকারের মধ্যেই পড়ে। ব্যাটাররা যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে প্রথম সুযোগেই তাদের আউট করা উচিত।
কমিটির সদস্য শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, এখানে বোলারদের কোনো দোষ নেই। প্রত্যেক ব্যাটারদের কাছেই অপশন আছে। তারা ডেলিভারি সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ক্রিজে থাকবে নাকি তার আগেই বেরিয়ে যাবে। যদি তারা দ্বিতীয় অপশনটিকে বেঁছে নেয় তাহলে ব্যাটাররাই আইন ভঙ্গ করে।
এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গ্যাটিং বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ব্যাটাররা যদি এই পদ্ধতিতে আউট হতে না চান, তবে তাদের অবশ্যই নিয়ম মেনে চলা উচিত। তা সত্ত্বেও তারা যদি এটা করে, তবে তাদের সতর্ক করা হবে, এমনটা আশা করা উচিত নয়।”