বিপিএলের এবারের ড্রাফটে সবাইকে চমকে দিয়ে হাবিবুর রহমান সোহানকে দলে টেনেছিলেন খুলনার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। কোচের আস্থার প্রতিদানটা বিপিএলের শেষ ম্যাচে এসে দিলেন উদীয়মান এ ক্রিকেটার। যেনতেনভাবে নয়, ৯ বলে ৩০ রানের অনবদ্য সেই ইনিংসে অসম্ভবপ্রায় এক ম্যাচ জিতিয়েছেন তরুণ তারকা।
রাজশাহীর সবে কৈশোর পার করা এ আনকোরা যুবার ৯ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করেই সাকিবের ফরচুন বরিশালকে হারায় খুলনা টাইগার্স। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি নিয়ে শেষ করল এবারে পুরো বিপিএলেই ধুঁকতে থাকা খুলনা টাইগার্স।
তবে নিজের আবিষ্কারের সাফল্যের দিনে কী এক অঘটন ঘটিয়ে ফেললেন গুরু খালেদ মাহমুদ সুজন।
খেলা চলাকালীন ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে রীতিমতো নিন্দিত ও সমালোচিত জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ধূমপানরত সুজনের ছবি ভাইরাল।
ক্রিকেট সমর্থকদের প্রশ্ন— জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান টিম ডিরেক্টর হয়েও খালেদ মাহমুদ সুজন এ কী করলেন? ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িযে ধূমপান করা যে ক্রিকেটীয় রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়।
শুধু লোক নিন্দার মুখে পড়া নয়; এমন কাজ করে অনিবার্য শাস্তির অপেক্ষায় সুজন। তার অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে হয় মৌখিক সতর্ক, না হয় ম্যাচ ফি কর্তনের সম্ভাবনাই বেশি। সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এমন কাজ করলে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজন তো অনেক অভিজ্ঞ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার, সহকারী কোচের ভূমিকায়ও ছিলেন। টিম ডিরেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন। আর বিপিএলের শুরু থেকেই তিনি কোচ।
তাই তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের ড্রেসিংরুমে ধূমপান কিছুতেই মানায় না। তাই সুজনের অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাচ ফির ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাটা যেতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।