এবার এক ম্যাচে ৪ গোল করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ সুপারস্টার নিজের আসল রূপে আবির্ভূত হলেন। তার চার গোলে মক্কায় আল-ওয়েহদার বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠ থেকে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে আল-নাসর।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য রোনালদোকে দেখে মনে হয়নি, আজকের দিনে তার জন্য এমন ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। শুরুতে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা কিছুটা হলেও আটকে রাখতে পারছিলেন তাকে। পর্তুগিজ তারকাও বারবার বল হারাচ্ছিলেন।
ম্যাচের ২১ মিনিটে যেন পাল্টে যায় সবকিছু। ঘারিবের কাছ থেকে পাওয়া অসাধারণ পাসটি ধরে বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে আরও ভেতরে ঢুকে যান রোনালদো। এরপর গোলকিপারের বাঁ পাশ দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল পাঠান জালে। এ গোলের সময় বলে তার প্রথম স্পর্শটি মনে করিয়ে দিচ্ছিল সেরা সময়ের রোনালদোকে!
রোনালদো তার দ্বিতীয় গোলটি পান ৪০ মিনিটে। এবার গোলের জোগানদাতা আল-নাজেই। ১৩ মিনিট পর তৃতীয় গোলটি পেনাল্টি থেকে। বক্সের মধ্যে বল হাতে লেগেছিল আল-ওয়েহদার এক খেলোয়াড়ের। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টি দেন। রোনালদো যেটিকে শট নিয়েছিলেন, আল-ওয়েহদার গোলকিপার সেদিকেই ঝাঁপালেও বলের নাগাল পাননি।
হ্যাটট্রিক করার পর যেন রোনালদো সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোয় মনোযোগ দিয়েছিলেন। বক্সের ভেতরে ফাঁকায় দুবার বল পেয়েও তিনি পাশে থাকা সতীর্থকে পাস দিয়েছেন। কিন্তু সেই পাসের সদ্ব্যবহার তার সতীর্থরা করতে পারেনি।
৬১ মিনিটে চতুর্থ গোলটিও পেয়ে যান রোনালদো। এবার তো বক্সের অনেক বাইরে বল পেয়ে ড্রিবলিং করে ভেতরে ঢোকেন তিনি। সামনে গোলকিপারকে একা পেয়ে শট নেন। কিন্তু গোলকিপার বল ঠেকালেও ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল সহজেই জালে পাঠান পর্তুগিজ তারকা।
এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেও গোল পায়নি আল-নাসর। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে আছে রোনালদোর দল। এক ম্যাচে বেশি খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল-শাবাবের পয়েন্টও ৩৭।
এই ম্যাচের ৪ গোল করে কিছুটা হলেও লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে চলে এসেছেন রোনালদো। এই নিয়ে তার গোলসংখ্যা ৫টি। ১৩ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন তারই সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান তালিসকা। আরেক ব্রাজিলিয়ান আল-শাবাবের কার্লোস ১০ গোল নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে।