২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেন আমির।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আমির; কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সাবেক প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক, বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অভিমানে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মাত্র ২৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির।
অবসর ঘোষণা করে আমির বলেছিলেন- কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন এলে তিনি জাতীয় দলে ফিরতে আগ্রহী। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পরপরই কোচিংয়ের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান মিসবাহ-ওয়াকার।
কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তৎকালীন চেয়ারম্যান রমিজ রাজা মোহাম্মদ আমিরকে ফেরানোর তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। যে কারণে ফেরা হয়নি পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার মোহাম্মদ আমিরের।
গত মাসে রমিজ রাজাকে সারিয়ে নাজাম শেঠিকে পিসিবির চেয়ারম্যান করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক করেন নাজাম শেঠি।
বোর্ডে আমূল পরিবর্তনের পর সম্প্রতি ফের জাতীয় দলে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ আমির। জাতীয় হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারে (এনএইচপিসি) অনুশীলনের অনুমতি পেয়ে জাতীয় দলে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন আমির।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি লাহোরের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটির একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা ক্রিকেটার রমিজ রাজা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যারা ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আপনি ভালোবাসতে পারেন না। আমি কখনো এ ধরনের লোকেদের প্রতি শ্রদ্ধা করিনি এবং করবও না।
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমি সেই যুগে খেলেছি, যেখানে ৯ জন খেলোয়াড় জয়ের জন্য খেলেছিল অথচ দুইজন ছিল না। যখন এটি আপনার সঙ্গে ঘটে, তখন এটি কঠিন হয়ে যায়।
ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বিচারপতি কাইয়ুমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রমিজ রাজা কিছুদিন আগে বলেছিলেন, আমি যদি সেই সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতাম, তাহলে আমি ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনুসকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতাম।