তির-ধনুকের প্রেম থেকে দাম্পত্যের আঙিনায়
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
তির-ধনুকের প্রেম থেকে দাম্পত্যের আঙিনায়
তির-ধনুকের পৃথিবীতে তাদের বসবাস। আরচারির আঙিনায় একসঙ্গে পায়চারি করতে করতে দুজনের জোড় জীবন শুরু। ভালোলাগা, ভালোবাসার পথ পেরিয়ে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।
বলা হচ্ছে, আরচারির তারকা জুটি রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর কথা। বৃহস্পতিবার এই দম্পতি এসেছিলেন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) এক অনুষ্ঠানে। এক ফাঁকে একান্ত আলাপনে স্বামী-স্ত্রী আঁকলেন তাদের মদির-মধুর জুটিবদ্ধ জীবনের আল্পনা-
দিয়া সিদ্দিকীকে নিয়ে রোমান সানা
দিয়ার সব কিছুই আমাকে মুগ্ধ করে। আমি তার অনেক আগে খেলা শুরু করেছি। সে আমার অনেক জুনিয়র। প্রথমদিকে তাই সেভাবে তাকে নিয়ে ভাবিনি। প্রথমের দূরত্ব পরে কাছে টেনেছে। তার হাসিটাই আমাকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে। দিয়া আমার কাছে একশতে একশ। সে সব কিছুইতেই আমাকে গাইড করে। আমি সাধারণ ভুল করলেও দিয়ার কাছে সরি বলি না। কিন্তু সে আমাকে দারুণ বোঝে। এজন্য নিজে থেকে সরি বলে সমাধান করে ফেলে। পরে নিজের ভুল বুঝতে পারি।
দিয়া সব সময় আমাকে সাপোর্ট করে। মাঝে যে বাজে সময় পার করছিলাম, তখনো সে আমাকে পথ দেখিয়েছে। আমি চাই দিয়া এখন পড়াশোনায় ফোকাস করুক। সঙ্গে খেলাটাও চালিয়ে যাক। সে নিজের নামটা যেভাবে ছড়িয়েছে সেটা তার কাজ দিয়ে আরও বড় হোক।
রোমান সানাকে নিয়ে দিয়া সিদ্দিকী
আমি এখনো তাকে আপনি বলে ডাকি। এতে দুজনেরই ভালো লাগে। আমার থেকে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় রোমান। প্রথমে মুডি মনে হতো। খেলার সুবাদে যখন কথা বললাম, দেখলাম মানুষটা পুরোই উলটা।
তিনি টেকনিক্যালি খুবই পরিষ্কার। বিশ্বের অন্যতম সেরা তিরন্দাজ। আমি বিশ্বাস করি, রোমান আরও অনেক দূর যাবেন। এখন একটাই চাওয়া, ২০২৮ অলিম্পিকে তাকে আমি সরাসরি খেলতে দেখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, দেশের জন্য রোমান এখনো বড় সাফল্য আনতে পারেন।
মাঝে আমাদের দুজনের খারাপ সময় গেছে। কিছু সময় নেতিবাচক ও ভুল সংবাদ আমাদের ব্যথিত করেছে। তবে সংবাদমাধ্যমই আমাদের আজকের দিয়া ও রোমান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের দুজনের বিশ্বাস, সবাই যেমন আমাদের সেরা জুটি হিসাবে জানেন, সেভাবেই নিজেদের পারফরম্যান্স ও স্বামী-স্ত্রী হিসাবে উদাহরণ রেখে যেতে চাই।