আশির দশকের শেষের দিকে হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক শুরু করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার শানু। ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হিরো হীরালাল’ ছবিতে প্রথম গান করেন এ গায়ক। এরপর ধীরে ধীরে তার কাছে প্রস্তাব আসতে থাকে বলিউডের নামি সংগীত পরিচালকদের কাছ থেকে। 

১৯৯০-এ ‘আশিকি’ ছবি যেন মোড় ঘুরিয়ে দেয় কুমার শানুর ক্যারিয়ারে। রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন তিনি। একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসে তার হাতে। তার কর্মজীবন যখন সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠছে, ঠিক সেই সময় ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে যায় গায়কের। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক টালমাটাল। কিন্তু ইতোমধ্যে তিন সন্তানের বাবা হয়ে গেছেন শানু। মদ্যপ অবস্থায় ভালো লেগে যায় বড়পর্দার এক অভিনেত্রীকে। একসময় বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এ গায়ক।

বলিউডে পা রাখার আগেই রীতা ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছিলেন শানু। বিয়ের পর অভিনেত্রী কুনিকা লালের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন গায়ক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শানুর সঙ্গে নিজের প্রেমজীবনের কথা প্রকাশ্যে আনলেন কুনিকা। অভিনেত্রী জানান, দাম্পত্য জীবনে অসুখী ছিলেন গায়ক। সেই সময় বোনের সঙ্গে উটি ঘুরতে গিয়ে দেখা হয় কুনিকার সঙ্গে। রাতে একসঙ্গে মদপান করেন তারা। উটি থেকে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন শানু। সেই সময় অভিনেত্রী কুনিকার কাছাকাছি আসতে শুরু করেন গায়ক। 

কুনিকা বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আমরা সম্পর্কে ছিলাম। স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতাম। যদিও কেউ কিছু টের পায়নি সেই সময়। কিন্তু রীতার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন এতটা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন শানু যে, হোটেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

যদিও অভিনেত্রীর সহচার্য অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে শানুকে। তবে তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি গায়কের স্ত্রী রীতা।