ছবি: সংগৃহীত
শরীরে মেদ জমুক, ওজন বাড়ুক— কেউ চাইবে না অমন। শীতকালে এমনিতেই যখন সব থমকে থাকে তখন শারীরিক কসরত করারও ফুরসত কই মেলে! শান্তির ঘুম আর টাটকা সব খাবার সামনে দেখে লোভ যখন সামলানো যায় না, তখন বাড়ে ওজন। তবে চারটি বিষয় মেনে চললে ওজন বাড়ার বিড়ম্বনায় পড়বেন না। বরং কমবে।
কর্মচঞ্চল থাকা : শীতের সময় অল্প পরিশ্রমে পাওয়া তাপ আরও বেশি কায়িক শ্রমের খোরাক জোগায়। শীতে ঘরের ভেতরে থাকার মুহুর্তগুলো দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়া অব্যাহত রাখার দিকে মনযোগ দিতে হবে। ওয়ার্কআউট ভিডিওগুলোর মাধ্যমে হোম জিম সেট-আপ করা যায়। খুব বেশি আয়োজনের দিকে যেতে না চাইলে যোগব্যায়ামের মতো ব্যায়ামগুলো যথেষ্ট উপযোগী।
শরীর চর্চা : নিজের অলসতাকে আরেকটু ছুটি দিতে পারেন। ঘর থেকে বেরিয়েও আসতে পারেন। খোলা পরিবেশে শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। একান্তপক্ষে আবহাওয়া একটু সহনীয় হয়ে এলে ঘরের বাইরের শারীরিক অনুশীলনগুলো শুরু করা উচিত। এতে করে অভ্যাস বজায় থাকবে এবং সেই সঙ্গে দেহের পেশীগুলো সচল থাকবে।
প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার : শীতকালে খাবারের পসরা মেলে বসে। শীতের সময় প্রোটিন ও ফাইবার পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবারগুলো সর্বোত্তম। প্রোটিন পেশী রক্ষণাবেক্ষণ, বিপাক এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার অল্প খাবারে পাকস্থলির পূর্ণতা বৃদ্ধি ও হজমে সহায়তা করে। এতে ঘন ঘন খাওয়ার উন্মাদনা কমায়। তাতে ওজন বাড়ার পরিবর্তে কমে।
পানিশূন্যতা এড়িয়ে চলা : শীতকালে সবচেয়ে
বেশি সমস্যা পানি পানে। শীতের প্রকোপে পড়তে বা বারবার ওয়াশরুমে যেতে কেউই চায় না। এসময়
শরীরও ঘামে না একদম। অল্প মাত্রায় পানিশূন্যতাও কখনো অতি মাত্রায় ক্ষুধার উদ্রেক ঘটাতে
পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করায় যদি অনেক বেশি আলসেমি থাকে তবে এই সমস্যা থেকে
উত্তরণের পথ বাতলে দিতে পারে ভেষজ চা। এক কাজে দুই সমাধান হবে— আরামদায়ক তাপমাত্রা
সরবরাহও হবে, কাটবে পানিশূন্যতাও।