
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২০ এএম
‘তোমারে তো দেখছিলাম টিভিতে’

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম

জুলাই আন্দোলনে আহত, পঙ্গু, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ছোট্ট শিশুর কথা শুনছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
আরও পড়ুন
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের উদ্দেশে এক শিশুর কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
জুলাই আন্দোলনে আহত, পঙ্গু, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ছোট্ট শিশুদের কাছে সরাসরি গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করার সময় এক শিশু জামায়াত আমিরের উদ্দেশে বলে ওঠে, ‘তোমাকে তো দেখছিলাম টিভিতে’। তাৎক্ষণিকভাবে ডা. শফিকুর রহমান শিশুটিকে বলেন, আমাকে টিভিতে দেখছো?
শিশুটি আবার বলে, হ্যাঁ, তোমাকে টিভিতে দেখেছি।
জুলাই আন্দোলনে আহত, পঙ্গু, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ছোট্ট শিশুদের কাছে সরাসরি গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করার সময় এক শিশু জামায়াত আমিরের উদ্দেশে বলে ওঠে, ‘তোমাকে তো দেখছিলাম টিভিতে’। তাৎক্ষণিকভাবে ডা. শফিকুর রহমান শিশুটিকে বলেন, আমাকে টিভিতে দেখছো?
শিশুটি আবার বলে, হ্যাঁ, তোমাকে টিভিতে দেখেছি।
ডা. শফিকুর রহমান একটু কৌতুক স্বরে বলেন, কী বলে! এই বুড়ো মানুষটিকে টিভিতে দেখছো তুমি!
তখন, শিশুটি মাথা নাড়ায়।
পাশ থেকে এক নারী (সম্ভবত শিশুটির মা) বলেন, ওকে একটু দোয়া করে দেন।
ডা. শফিকুর রহমান শিশুটির দীর্ঘ হায়াতের জন্য দোয়া করেন। মাত্র ১৫ সেকেন্ডের এই দৃশ্যটি নেট দুনিয়ার ভাইরাল হয়ে গেছে। এই দৃশ্য নেট দুনিয়ায় প্রকাশের পর জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রশংসায় ভাসছেন।
ওই ভিডিও ক্লিপটি আপলোডের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তা ৩৩ লাখ মানুষ দেখেছেন।
ভিডিওটিতে লাইক দিয়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ। শিশুদের প্রতি স্নেহশীল আচরণে আপ্লুত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ কমেন্টে জামায়াত ও জামায়াত আমিরকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) আন্দোলনে আহত, পঙ্গু, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. শফিকুর রহমান।
আবদুস সোবহান নামের এক ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশি ওই ভিডিওটি ফেসবুকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, মাশাআল্লাহ, অসাধারণ একজন আদর্শবান দেশপ্রেমিক জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হবে আল-কুরআনের। এজন্য জামায়াত ইসলামীকে ভোট দেবো।
হাসানুজ্জামান নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, এমন নেতা শত বছরেও একজন আসে না..। আমিরে জামায়াতকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক।
তাজরিয়ান নামের এক নারী ভিডিওটির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাচ্চাটা খুব সুন্দর। অনেক ভালো লাগলো।
শামীম নামের একজন বলছেন, কত বড় একজন নেতা, উনি কত সুন্দরভাবে বাচ্চাদেরকে আদর করছেন, মাশাল্লাহ।
এমডি রাসেল হাওলাদার নামের একজন বলেন, একেই বলে জামাত ইসলামের আমির, যে সবাইকে বুকে টেনে নেয় গরিব-ধনী বাছে না, সবাই মানুষ সেটাই জামায়াত শিখিয়ে গেল আমাদেরকে। সামনের নির্বাচনে আমাদের সোনার বাংলায় জামায়াতে ইসলামী যেন ক্ষমতায় আসে।
মোহাম্মদ সোহেল নামের একজন বলেন, অনেক সুন্দর কথা বলে। শুধু টিভিতে না, সব জায়গায় দেখেবেন আমার এই চাচাকে।
মোহাম্মদ রিপন নামের একজন বলেন, ভালো মানুষকে সামনাসামনি দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়।
তাজউদ্দিন নামের একজন এই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। কত সুন্দর দৃশ্য! মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়, তখন আবার সেই শিশুকালেই চলে যায়। তাই তো তাদের মধ্যে এই ভালোবাসা দেখা যায়। এরাই তো সুন্দর মনের মানুষ, তাদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষের দায়িত্ব চলে গেলে সবাই ভালো থাকবে।
সিয়াম নামের একজন জামায়াত আমিরের উদ্দেশে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের মতো মানুষ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া দরকার।
মো. আকাশ বলেন, আমাদের আমির সাহেব। অনেক সুন্দর মানুষ।
জুবায়ের হোসাইন আবির বলেন, ভাবা যায়, একটা দলের আমিরকে ‘তুমি; বলে সম্বোধন করার পরও হাসিমুখে তিনি ‘তুমি’ বলাটা বরণ করে নিলেন, বাচ্চাটার জন্য দোয়া করলেন।
মো. জাহাঙ্গীর নামের একজন বলেন, জামায়াতের আমির সাহেবের জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। আলহামদুলিল্লাহ তিনি আগামীর প্রধানমন্ত্রী হবেন আকাশ বাতাস বলতেছে।
আবুল খায়ের মোল্লা নামের এক নেটিজেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বাচ্চাটা এক সময় শিবিরের চমৎকার মিষ্টি হাসি খুশি মুখো নেতা হবে।
আবদুল কাইয়ুম নামের একজন বলেন, খুবই চমৎকার একটা ভিডিও দেখলাম। খুব সুন্দর লাগলো আপনার (ডা. শফিকুর রহমানের) কথাগুলো শুনে।
মিয়া রাশেদ নামের এক নেটিজেন বলেন, জামায়াত আমির সবার অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন