এবার ৩২ নম্বরের সেই ভিডিও নিয়ে গুজব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৪ এএম
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
শেখ হাসিনার পতনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকজুড়ে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে একটি মহল। এখনো পর্যন্ত যত গুজব ছড়িয়েছে তার বেশিরভাগই ছাত্রদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার সড়কের পাশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঠেকাতে অবস্থান নেয় কয়েকশ সাধারণ শিক্ষার্থী। এদিন সকাল থেকে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ৩২ নাম্বার সড়কের দিকে আসতে চাইলে বাধা দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও দেখা যায়। এ সময় কালো রঙের একটি গাড়িতে করে একজন ৩২ নাম্বার এলাকায় আসলে তার পরিচয় জানতে চান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তিনি পরিচয় গোপন করলেও পরে ভিজিটিং কার্ড দেখে তার পরিচয় জানা যায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা।
এ সময় তাকে হেনস্থা করে ভিডিও করে কয়েকজন। সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আলোচনা সমালোচনা করেন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে আসিফ তালুকদার নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘আমার বাবা মারা গিয়েছে। তোমরা যারা এমন করলে তোমাদের বাবা আছে এবং আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তুমি কি মানতে পারতে তোমার বাবার সঙ্গে এমন কেউ করলে??’
একই পোস্ট তিনি এডিট করেন রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে। এবার তার প্রতারণা সামনে আসে সকলের সামনে। সেই পোস্ট তিনি এডিট করে লিখেন- ‘আমার বাবা মারা গিয়েছে ২০২২ সালে। তোমরা যারা এমন করলে তোমাদের বাবা জীবিত বলে আমি বিশ্বাস করি এবং আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তুমি কি মানতে পারতে তোমার বাবার সঙ্গে এমন কেউ করলে??’
তার সে পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেন। যেখানে একজন লেখেন- ‘আয়নাঘরের লোকগুলো কারো না কারো বাবা ছিলেন! সেটিও তো প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’
জানা গেছে, হেনস্থার স্বীকার ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল কুদ্দুস মাখন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল হাই।
আব্দুল কুদ্দুস মাখন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বরেণ্য রাজনীতিবিদ কৃষিবিদ বদিউজ্জামাম বাদশার একান্ত সহচর ছিলেন। তার ফেসবুক আইডিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর জেলা সমিতির সহ-সভাপতি।
এই গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে তার বড় ছেলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি বলেন, ভিডিওতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, উনার নাম আব্দুল কুদ্দুছ মাখন। আমি উনার বড়ো ছেলে সিরাজ উল কুদ্দুছ ইমরান। উনি মারা যায় নাই।