উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ভিডিও পোস্ট
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম
![উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ভিডিও পোস্ট](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/05/03/image-670816-1683105931.jpg)
বর্তমান সময়ে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে বিকট আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানো একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে। কোনো অনুষ্ঠান হলেই সেখানে বিকট আওয়াজে সাউন্ড বক্স না বাজালে যেন অনুষ্ঠানের পূর্ণতা পায় না— এমনটিই ভাবনা তৈরি হয়েছে বর্তমানে কিশোর-তরুণদের মধ্যে। কারও মতে, যারা প্রকট আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে থাকেন, তারা বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক মনে করেন।
জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন। রোববার রাত ৭টায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানেই প্রকট আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘ঈদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রকট আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজানোর প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজ যে কিশোর-তরুণরা এভাবে প্রতিবেশীর শান্তি বিনষ্ট করাকে স্বাভাবিক মনে করছে, বড় হয়ে এদের অনেকেই হয়তো খুনি-সন্ত্রাসী ও ধর্ষকে রূপান্তরিত হবে।’
এ ছাড়া তার পোস্ট করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ঈদের দিন নামাজ পড়িয়ে গ্রামে গেছি। খেয়াল করেছি, পথে না হলেও অন্তত ২০-৩০ জায়গায় পিকআপভর্তি কিছু ছেলে গানবাজনায় নেচেগেয়ে উল্লাস করছে— এভাবে ঈদ উদযাপন করছে। এই সংস্কৃতি ৭-৮ বছর আগেও আমাদের দেশে ছিল না। এটি ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কোথায় যেন এক মুয়াজ্জিন নিষেধ করায় তাকে আঘাত করা হয়েছে এবং পরে তিনি মারা গেছেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যেসব ছেলে এই উচ্ছৃঙ্খলতা করছে, তারা আমাদেরই ছেলে, আমাদেরই ছোট ভাই। তারা এটাকে ঈদ উদযাপন মনে করছে। কিন্তু তাদের যদি আমরা থামাতে না পারি, তা হলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? একপর্যায়ে এসব ধীরে ধীরে বাড়বে। কারণ পাগলামি ও মাতলামির বয়সই তো এটা। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যদি এটা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, একপর্যায়ে এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
তিনি বলেন, এটা প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় হবে। আমরা সবাই অতিষ্ঠ হব। বিকট আওয়াজে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, শব্দসন্ত্রাস সৃষ্টি করা, যিনি গান শুনতে চায় না তাকেও শুনতে বাধ্য করা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, আবার যারা আমাদের পরিবারের প্রধান আছে, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।