Logo
Logo
×

স্মরণীয়-বরণীয়

রাজিয়া খান

Icon

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রখ্যাত সাহিত্যিক রাজিয়া খান ১৯৩৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম রাজিয়া খান আমিন হলেও তিনি রাজিয়া খান নামে লেখক হিসাবে পরিচিত। রাজিয়া খান ১৯৩৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তমিজউদ্দিন খান, যিনি অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রী, আইনসভার সদস্য এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন। মায়ের নাম রাবেয়া রাহাত খান।

রাজিয়া খান কলকাতা ও করাচিতে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও এমএ পরীক্ষায় প্রথম হন। পরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে পড়তে যান।

রাজিয়া খান তার কর্মজীবন শুরু করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসাবে। পরবর্তীকালে ইংল্যান্ড থেকে ফিরে তিনি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীতে যোগ দেন এবং নিয়মিত ব্যঙ্গ কলাম ‘কালচার কেটল’ লেখা শুরু করেন। ১৯৫৮ সাল থেকে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয় পুনরায় শিক্ষকতার জীবন শুরু করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেন এবং এই বিভাগের প্রধান হিসাবে অবসরগ্রহণ করেন। শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিক ও সম্পাদক রূপে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে ইংরেজি বিভাগের ডিন হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

১৫ বছর বয়সেই পুরোদস্তুর উপন্যাস লিখতে শুরু করেন তিনি, আর ১৮ বছর বয়সেই লেখা হয়ে যায় তার ‘বটতলার উপন্যাস’। এতে দেশভাগজনিত সংকট এবং উপমহাদেশের বিশাল ভৌগোলিক পরিসরে চরিত্রপাত্রের জটিল সমস্যার বিন্যাস দেখানো হয়েছে। তিনি খুব বেশি লিখে গিয়েছেন তেমন নয়, কিন্তু যা লিখে গেছেন তাতে জটিল নগরজীবন-অন্তর্গত ব্যক্তিমানুষের নৈঃসঙ্গ, বিচ্ছিন্নতা ও রক্তক্ষরণের শিল্প রূপায়ন করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-‘বটতলার উপন্যাস’ (১৯৫৮), ‘অনকল্প’ (১৯৫৯), ‘প্রতিচিত্র’ (১৯৭৬), ‘চিত্রকাব্য’ (১৯৮০), ‘হে মহাজীবন’ (১৯৮৩), ‘দ্রৌপদী’ (১৯৯৩), ‘পাদবিক’ (১৯৯৮), ‘সোনালী ঘাসের দেশ’ (বাংলা কবিতা), ‘আবর্ত’ (নাটক), ‘তমিজুদ্দিন খানের আত্মকথা’ (বাংলা অনুবাদ), জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ। তিনি ১৯৭৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৮ সালে অনন্যা পদক লাভ করেন। এছাড়া তিনি শিল্পকলা একাডেমি পদক ও পিইএন পুরস্কারেও ভূষিত হন। তিনি ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম