Logo
Logo
×

স্মরণীয়-বরণীয়

কাজী আকরম হোসেন

Icon

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কাজী আকরম হোসেন ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৯৬ সালে খুলনা জেলার পয়গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার লেখায় দেশাত্মবোধ ও গ্রামের প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ ফুটে উঠেছে। তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ, রাজশাহী কলেজ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন।

পয়গ্রাম হাই স্কুল থেকে ১৯১৫ সালে তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে এন্ট্রান্স পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা মাদ্রাসায় ফারসি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে বিএ পাস করে তিনি ইংরেজিতে এমএ শ্রেণিতে ভর্তি হন।

খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে তিনি তাতে সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়ে লেখাপড়া ছাড়েন এবং কংগ্রেসের আহ্বানে ন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক সেবকের সহসম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। এ সময় প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হলে কাজী আকরম হোসেন দেশরক্ষী শিক্ষার্থী দলে যোগ দেন এবং সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখের নৈকট্য লাভ করেন। কিছুদিন পর পুনরায় তিনি শিক্ষাজীবনে ফিরে আসেন এবং ইংরেজিতে এমএ (১৯২২) পাস করেন। পরে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়ে সিরাজগঞ্জ

ইসলামিয়া কলেজ, করটিয়া সাদত কলেজ (১৯২৩-৩০), কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯৩০-১৯৪০), রাজশাহী কলেজ (১৯৪১-৫৩), পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং ১৯৬১ সালে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরগ্রহণ করেন।

প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়নকালে আকরম হোসেন শেখ হবিবর রহমানের সংস্পর্শে এসে সিদ্দিকীয়া সাহিত্য সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তার প্রথম রচনা ‘ইসলামের ইতিহাস’ (১৯২৪)। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো-‘নওরোজ’ (১৯৩৮), ‘পল্লীবাণী’ (১৯৪৩), ‘পথের বাঁশী’ (১৯৪৫), ‘আমরা বাঙ্গালি’ (১৯৪৫)। তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-‘যুগবাণী’ (১৯৪৩), ‘মসনবী রুমী’ (১৯৪৮), ‘করীমা-ই-সাদী’ (১৯৪৮) এবং ‘দীউয়ান-ই-হাফিজ’ (১৯৬১)।

কাজী আকরম হোসেন ১৯৬৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম