১২ শিক্ষকের পাঠদানে ১০ পরীক্ষার্থীর ১ জন পাশ!
দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পাশের হারসহ কমেছে পরীক্ষার্থীও। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী, পাশের হার, স্কুল পর্যায়ে জিপিএ-৫ কমেছে। তবে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে মাদ্রাসায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। কিন্তু মাদ্রাসার পাশের হার গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এদিকে উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষক। ওই মাদ্রাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে মাত্র ১ জন পাশ করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এসএসসি স্কুল পর্যায়ে ২৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩ হাজার ৫৬ জন অংশগ্রহণ করে ২ হাজার ৩৯১ জন কৃতকার্য হয়।এবার মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪৪ জন ও গড় পাশের হার ৭৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। অথচ গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫৯ জন ও পাশের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
অপরদিকে মাদ্রাসায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে বেড়েছে জিপিএ-৫ এর পরিমাণ। তবে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পাশের হার। গতবছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে পাশের হার। গতবছর পাশের হার ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল। এবার যা কমে ৫০ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে এসেছে। এবছর মোট ৮৭৬ জন অংশগ্রহণ করে ৪৪৬ জন পাশ করে। তবে গতবছর মাদ্রাসা থেকে ২ জন জিপিএ-৫ পেলেও এবার পায় ১২ জন। গতবছর ৯টি মাদ্রাসায় শতভাগ পাশ থাকলেও এবার কোন প্রতিষ্ঠানই শতভাগ পাশ করতে পারেনি।
এবার স্কুলভিত্তিক সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাই স্কুল ৫৯ জন, রামনগর কেএমসি হাই স্কুল ১৯ জন, সিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৬ জন, দাগনভূঞা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৯ জন, উত্তর আলীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৮ জন, দুধমুখা ও বাতশিরি উচ্চ বিদ্যালয় ৬ জন করে, মকবুল আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় ৪ জন, দাগনভূঞা একাডেমি ও খাজা আহমদ বিদ্যানিকেতন ৩ জন করে, সুজাতপুর, রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রতাপপুর ও জায়লস্কর উচ্চ বিদ্যালয় ২ জন করে, জাফর ইমাম, সাপুয়া ও ফাজিলেরঘাট উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন করে জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
অপরদিকে মাদ্রাসায় জমিলা খাতুন মাদ্রাসা ৪ জন, দাগনভূঞা আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, রাজাপুর আলীম মাদ্রাসা, উম্মুল মুমিনীন ও আমুভূঞারহাট হাছানিয়া মাদ্রাসায় ২ জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
উপজেলার জিন্নুরাইন মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষকের পাঠদানে ১০ জন ছাত্রী পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। তাও মাদ্রাসাপ্রধান পাশ করা ছাত্রীর নাম বলতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, ১০ ছাত্রী পরীক্ষার্থী বা ১৩৫ জন পাঠদানরত শিক্ষার্থী তা তারা দেখেননি বা জানেন না। দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসাটি অচলাবস্থায় রয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আজিজুল হক জানান, মাদ্রাসাটি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা ও প্রকাশিত দাখিল শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়ে খতিয়ে দেখছি।