
ইসলামের নিয়মানুযায়ী রমজানে প্রতিটি সুস্থ-সবল মানুষের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। তাই ফজরের আগে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা শুরু করতে হয় এবং সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে দিনের রোজার সমাপ্তি ঘটে।
সেহরি খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সেহরির সুন্নত আদায় হবে।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং;১৯২৩)
অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, সেহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি করো। কারণ যারা সেহরি খায় আল্লাহতায়ালা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মুসনাদে আহমাদ ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস ৯০১০; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস ৩৪৭৬)
রাতের শেষভাগে সেহরি খাওয়া উত্তম। অর্থাৎ সতর্কতামূলক সময় হাতে রেখে সুবহে সাদিকের পূর্ব-নিকটবর্তী সময়ে সেহরি খাওয়া উত্তম। তবে এ পরিমাণ বিলম্বিত করবে না যে, সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় এবং রোজা সহিহ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। (হেদায়া ১/২২৫)
কখন সেহরি খাওয়া মাকরুহ?
সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ তৈরি হলে সেহরি বা কোনো কিছু পানাহার করা মাকরুহ। তা সত্ত্বেও যদি কিছু খেয়ে নেয় আর ওই সময় বাস্তবেও সুবহে সাদিক হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে ওই রোজা সহিহ হবে না। তার কাজা করে নেবে।
আর যদি সুবহে সাদেক হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েই যায়, নিশ্চিতরূপে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারা যায় তা হলেও সতর্কস্বরূপ ওই রোজার কাজা করে নেবে। (হেদায়া- ১/২২৫)