Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

আপনি ভাবেন যে, ‘নগ্ন অবস্থায় নিহত হতে চাই না আমি’: আবু তোহা

Icon

কবি কাউসার মাহমুদ

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আপনি ভাবেন যে, ‘নগ্ন অবস্থায় নিহত হতে চাই না আমি’: আবু তোহা

ভয়, প্রত্যহ মৃত্যুকে কাঁধে নিয়ে চলার শঙ্কা আর জীবনের যাবতীয় যন্ত্রণা ঘিরে মুসআব আবু তোহা তার কবিতার জগৎকে যাপন করে চলেছেন। কবিতায় তিনি সেই সত্যকেই বর্ণনা করেন, যা বিস্তৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। পৃথিবীর মানুষ যদিও তা খোলা দৃষ্টিতে দেখে, কিন্তু এর উপলব্ধি তাদের নেই। তাই বোধকরি আমাদের বেঁচে থাকার স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়া গাজায় কেমন হয়, তার বর্ণনা তোহা এভাবে দেন যে, ‘In Gaza, breathing is a task, smiling is performing plastic surgery on ones own face, and rising in the morning, trying to survive another day, is coming back from the dead’। গাজার জীবনকে এমন করুণ চিত্রেই প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের বিপ্লবী এ কবি। এমন এক জীবন-যা অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ এবং দীর্ঘ অবরোধের প্রভাবে পীড়িত। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘থিংস ইউ মে ফাইন্ড হিডেন ইন মাই ইয়ার: পোয়েমস ফ্রম গাজা’ তার পাঠকদের এমন এক যাত্রায় নিয়ে যায়, যেখানে পাঠক ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরাইলিদের নির্মম আক্রমণের চিত্র দেখতে পায়। শুনতে পায় পৃথিবীর নিরীহ একটি জাতির রোদন। আর সভ্যতার মুখোশ পরে আমাদের নির্লিপ্ত মনোভাব। এ কাব্যগ্রন্থে গাজার দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে লিখেছেন তিনি। যেমন-অবরোধ, যুদ্ধ, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, ভয় ইত্যাদি। মন্ডোওয়েইস ম্যাগাজিন গাজা শহরে তার বাড়িতে এ গ্রন্থ এবং এর কবিতার পেছনের গল্পগুলো সম্পর্কে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য সময়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন কবি কাউসার মাহমুদ।

কখন লেখালেখি শুরু করেছেন? কবিতা লেখা জন্য কী অনুপ্রাণিত করেছিল আপনাকে?

: ২০১৪ সালের যুদ্ধের আগে আমি লিখতাম না। তখনো নিজের লেখার ক্ষমতাটি আবিষ্কার করিনি। যুদ্ধের সময় বোমা হামলা এবং নিহত মানুষদের সম্পর্কে লিখতে শুরু করি। তবে তা সংবাদ এবং সাধারণ গল্পকারদের চেয়ে ভিন্নভাবে। একজন সাপোর্টিভ শ্রোতা খুঁজে পাওয়া বিষয়টি ভাবতে বাধ্য করেছিল যে, লেখালেখি আমায় ইতিহাসের নথিভুক্ত করার সুযোগ দিতে পারে। এখন যা চলছে কেবল তা-ই লেখার মাধ্যমে নয়, বরং অন্য জায়গা থেকে, অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে জীবন কেমন হতে পারে তা কল্পনা করে। কেননা একজন হিসাবে অন্যের জীবন কল্পনা করা এবং তার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকাই দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করেছি। তাদের স্থানে একদা আমিও থাকব এ কল্পনা করে তাদের সম্বন্ধে একটি বেদনাদায়ক কবিতা লিখেছিলাম। কবিতাটির নাম ‘Shrapnel Looking For Laughter’। এ কবিতায় বলেছি, শ্রাপনেল কেবল মা এবং বাবাকে হত্যা করেনি, বরং তাদের বাড়ির ভেতরের হাসি, শিশুদের বইয়ের শব্দগুলোকেও হত্যা করেছিল।

তাহলে নিজের চারপাশের ভিজুয়াল দৃশ্য দ্বারাই অনুপ্রাণিত হয়েছেন?

: হ্যাঁ। যুদ্ধ, অবরোধ, মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণা, অস্বীকার, বঞ্চনা ইত্যাদি। মানুষ মূলত তার চারপাশের পরিবেশ দ্বারা সৃষ্টি হয়। তাই আমি যদি আমাজন জঙ্গলে জন্মে থাকি তবে আমার লেখাগুলো হবে গাছ, চড়ুই এবং টিকটিকি নিয়ে।

দেখুন আমার বয়স সাতাশ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একবারের জন্যও গাজার বাইরে যাইনি। যা প্রকৃতই বঞ্চনা ও বেদনার। এমনকি আজ পর্যন্ত কখনো গাজা বা আমার বাড়ির বায়বীয় দৃশ্যও দেখার সুযোগ পাইনি। কারণ সেখানে কোনো বিমানবন্দর নেই। চারদিক থেকে অবরোধ চলছে। ফলে শেষতক বুঝতে পেরেছি, গাজায় আমাদের চারপাশের জগৎকে কল্পনা করতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।

‘Sobbing without sound’-এর মতো আপনার কিছু কবিতায় গাজার মানুষের জীবনযাপন ও টিকে থাকার দুরাবস্থার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কী?

: দেখুন আমাদের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাগুলো খুব সহজ আর সাধারণ। এ যুগে এ সময়ে এখনো এমন একটি জায়গা আছে, যেখানের লোকেরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা বা সমুদ্রে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়ার চিন্তার পরিবর্তে প্রত্যহ এ আশায় জেগে উঠবে যে পাওয়ার চালু আছে। আকাশে ড্রোনের গুঞ্জন ছাড়াই পাখির শব্দ শুনতে চাই আমরা। আমাদের ইচ্ছাগুলো সব মানুষের জন্য প্রতিদিনের অভ্যাস। তারা এমন কিছু চিন্তা না করেও এটির মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে যে, এমন কিছু লোক রয়েছে যারা এ জাতীয় জিনিসগুলোকে অস্বীকার করে। আমরা অবরুদ্ধ হয়েছি এবং আমাদের বাড়ির দোরগোড়ায় সর্বদা একটি যুদ্ধ চলছে। কিন্তু বিশ্ব আমাদের কান্না শুনতে পায় না। স্বাভাবিক জীবনের জন্য মরিয়া এবং আশাবাদী আমরা।

এটিই জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলাম যে, কীভাবে যুদ্ধ আপনার লেখাকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যুদ্ধই আপনাকে লেখক হিসাবে তৈরি করেছে। কীভাবে ঘটল তা?

: দেখুন, যখন আপনি মহান কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম পড়েন, তখন তাদের সময়ে হওয়া যে অন্যায়ের বর্ণনা তারা করেছেন তা পড়ে মর্মাহত হন। কিন্তু এখানে আপনি সেসবের চেয়েও ভয়ানক পরিস্থিতি দেখবেন, ফিলিস্তিনিরা যার সম্মুখীন হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করছি আমরা। অথচ এখনো বাথরুমে যাওয়ার ভয় নিয়ে বেঁচে আছি। কারণ এক সেকেন্ডের মধ্যে হয়তো আপনার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং আপনি ভাবেন যে, ‘নগ্ন অবস্থায় নিহত হতে চাই না আমি।’ এসব অপমানজনক অনুভূতিই নিজেকে প্রকাশ করার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে। তদুপরি খুঁজে বের করেছি যে, লেখা আমার মাথার ভেতর ঘটে যাওয়া যুদ্ধ থেকে আমার অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপায়।

যুদ্ধগুলো কীভাবে আপনার শৈশবকে প্রভাবিত করেছিল এবং কীভাবে অবরোধ আপনার জীবনকে প্রভাবিত করেছে?

: যখন লিখি তখন আমি আমার প্রজন্মের পক্ষ থেকে লিখি। দখলদারিত্ব আমাদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে। মনে আছে যখন ছোট ছিলাম, তখন স্কুলে অনেক বিষয়ের পাঠ ছিল। সেসবের একটি ভূগোল। তাতে বিবিধ অ্যাক্টিভিটিজ ছিল যেমন, ফিলিস্তিনের কোনো পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া কিংবা একটি চিড়িয়াখানা আবিষ্কার সম্বন্ধে কথাবার্তা। কিন্তু সে সময়ে এ জিনিসগুলো যেমন আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, তেমনি এখনো সম্ভব নয়। এখন প্রতিটি যুদ্ধ আমাদের কাছ থেকে, আমাদের আত্মা এবং জীবন থেকে কিছু না কিছু কেড়ে নেয়। এ কারণেই আমরা এত দ্রুত বড় হই। আমার বয়স তখন নয় বছর। যখন আমি একটি হেলিকপ্টারকে একটি ভবনের দিকে গুলি ছুড়ে সেটিকে ছিটকে পড়তে দেখি। যখন নতুন এ পরিস্থিতিতে পড়ি তখন আমরা আমাদের শৈশবকে পেছনে ফেলে যেতে বাধ্য হই। যুদ্ধ আমাদের যন্ত্রণা ও বেদনাকে অধিরোহণ করে বয়স্ক করে তোলে। এখন তিন সন্তানের বাবা হিসাবে, আমার বাচ্চাদের চোখ দিয়ে নিজেকে দেখি। আমি যখন শিশু ছিলাম তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে এখন বসবাস করছে ওরা।

আপনার কি মনে হয় যে, যখন শিশু ছিলেন তখন থেকে আপনার সন্তানরা আরও খারাপ বা ভালো অবস্থায় বাস করবে?

: আশা করি তারা খারাপ অবস্থায় যাবে না। এও আশা করি যে, আমার ছেলেদের মতো সব শিশুকেই আরও ভালো জীবন দিতে পারব আমরা। আমার ক্ষেত্রেই ধরুন, যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা যেমন ছিলেন, তারচেয়ে সামান্য ভালো অবস্থায় আছি আমি। তাই নিজে যা পাইনি, তা আমি আমার সন্তানদের দিতে পারি। এখনো মজা করে মায়ের কাছে খেলনাভরা একটা ঘরের আবদার করি। কারণ শৈশবে আমার কাছে এসবের একটিও ছিল না।

বইজুড়ে আঁধারের বিচিত্র থিম এবং মোটিফ অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ভবিষ্যতে গাজা কেমন হবে সেক্ষেত্রে এটি কি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে? নাকি বর্তমান পরিস্থিতিরই প্রতিফলন?

: আমার বেশিরভাগ কবিতাই গাজার অন্ধকার বাস্তবতার কথা বলে। এখানে মৃত্যু এবং যুদ্ধের কথা ভাবে। তারা আগামীকাল বা ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারে না। কারণ আমরা সব সময়ই ভয় করি যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। গাজায় মানুষ যুদ্ধ দিয়ে তাদের জীবন ও সময় পরিমাপ করে। যেমন কেউ বলবে, ‘আমার ছেলে যুদ্ধের সময় জন্মগ্রহণ করেছিল’ বা ‘আমার ছেলে যুদ্ধের দুমাস পর জন্মেছিল।’ হ্যাঁ এ সত্য যে, আমার বইয়ে যুদ্ধ এবং ধ্বংসের কথা বলেছি। কিন্তু বিস্তারিতের আড়ালে যা লুকিয়ে আছে তাও তুলে ধরছি। ক্যামেরা যা দেখাতে পারে না তা আমি লিখি। যেমন শ্রাপনেল-যা হাসিকে লক্ষ্য করে এবং হত্যা করার জন্য হাসে। তেমনি যখন ইংরেজিতে লিখি, তখন একজন পশ্চিমা শ্রোতার কথা ভাবি। কারণ, এখানে গাজায় কী চলছে তা জানাতে সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলি আমি। আমার এক বন্ধু ছিল। যিনি একজন ফুটবল খেলোয়াড় ও জেলে ছিলেন। সমুদ্রে থাকা অবস্থায় ইসরাইলি নৌবাহিনী তাকে খুন করে। তার মৃত্যু ভীষণভাবে আক্রান্ত করে আমায়। তাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখি। তাতে বলেছি, ‘তার দেহ জলের ওপর ভাসবে না, কারণ বিক্ষিপ্ত জাহাজ ভাসে না।’ ফলে আমরা যে অন্যায্য জীবনযাপন করি সে সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতেই আমাদের অবস্থার কথা লিখি আমি। আমার মানুষ সম্পর্কে কথা বলা আমার কর্তব্য।

আপনার একটি কবিতার শিরোনাম ‘আমার দাদা একজন সন্ত্রাসী।’ কবিতাটির এমন শিরোনামের পেছনে কী বার্তা ছিল?

: দখলদার দুর্বৃত্তরা সর্বদাই ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনি এবং নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডমূলক ঘটনাগুলোকে ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করে। মানে বিষয়টি এমন যে, কেউ যদি কাউকে ঘৃণা করে, তবে সে যাই করে না কেন তা খারাপ মনে করবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তাকে তার কমলা গাছের প্রতি যত্নশীল হতে দেখে, তবে সে ভাববে তার বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। তেমনি তার জমিতে যেতে দেখলে সে ভাববে তাকে আক্রমণ করবে। ফলে আমরা যাই করি না কেন দখলদারত্বের আড়ালে থাকা লোকেরা সব সময় আমাদের ভয় পায়। কারণ তারা স্পষ্টরূপেই জানে এ ভূখণ্ড তাদের বাড়ি বা জমি নয়। আমার কাছে, আমার দাদা ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করেন। যদিও দখলদাররা মনে করে, আমার দাদা বা একজন ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী। কিন্তু আমি আপনাকে দেখাচ্ছি তারা আসলে কারা ছিল।

লেখালেখি কীভাবে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সহ্য করে যেতে সাহায্য করে?

: আমি মনে করি লেখা মাঝে মাঝে থেরাপি হিসাবে আসে। কিন্তু নেহাৎ সেল্ফ-থেরাপি নয়। কখনো কখনো ব্যাখ্যাতীত দুঃস্বপ্নও ব্যক্তির কাছে আসে। তখন সৃজনশীল লেখা আমাদের আত্মায় থাকা ওই দুশ্চিন্তাগুলোকে নামিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যখন হঠাৎই ওই ধারণা এবং চিন্তাগুলো কাগজে দেখা যায়। এতে কখনো নিজেকে এ প্রশ্নও করি, কাগজটি কী পাপ করেছে যে, সব মৃত্যু এবং ধ্বংসকে অন্তর্ভুক্ত করছে। কী পাপ করেছে! কাজেই আমার মনে হয়, লেখা একটি চিকিৎসার উপায়। তবে এর দ্বারা আমার উদ্দেশ্য এটি নয় যে, নিজের চিকিৎসা করছি। বরং কখনো কখনো আমরা দুঃস্বপ্নগুলোর ব্যখ্যা করতে পারি না। যুদ্ধের ট্রমা আমাদের আত্মায় থেকে যায়। যদি তা অবিলম্বে প্রদর্শিত না-ও হয়, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরে এর প্রভাব ঠিকই বেরিয়ে আসে। একটি পরিচিত ক্রিয়া এমনকি একটি শব্দ দ্বারাও তা প্ররোচিত হয়।

এ সংকলনটি পড়ার পর প্রধানত মানুষ কি পাবে বলে আপনি আশাবাদী?

: আশা করি আমার বইটি পাঠকদের অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনার একটি পথ খুঁজে পাবে। তা কেবল সহানুভূতিই নয়, বরং এটিকে পরিবর্তনের প্রয়াসে পরিণত করবে। পশ্চিমের লোকেরা আমাদের দখল এবং দুর্ভোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে তাদের সোসাইটিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। যুদ্ধ এবং অবরোধের অবসান ঘটাতে, তারা তাদের সরকারকে ফিলিস্তিনি বিষয়ের ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করতে পারে। সেই সঙ্গে পৃথিবীর মানুষকে জানাতে চাই, এ ভূমিতে জন্ম নেওয়া আমরা বেছে নিইনি, ঠিক যেমন তারা তাদের পরিস্থিতিতে জন্ম নেওয়া বেছে নেয়নি। আমি চাই মানুষ আমার জায়গায় নিজেদের কল্পনা করুক। অবরোধের মধ্যে, দখলে ঘেরা। আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন না, আপনার জীবন যুদ্ধে ভরা এবং আপনি বেঁচে থাকবেন কিনা তা জানেন না। আপনি যখন বোমা থেকে দৌড়াচ্ছেন তখন আপনার কোনো আশ্রয় নেই। এমনকি পরার জন্য একটি হেলমেটও না। একবার কল্পনা করুন তো, আপনি কি নিজের জন্য এমন জীবন গ্রহণ করবেন?

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম