কক্সবাজারে জমকালো আয়োজনে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের ‘পার্টনার্স মিট’ অনুষ্ঠিত

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম

সম্প্রতি পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের ‘পার্টনার্স মিট-২০২৪’।
সারা দেশ থেকে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসায়িক অংশীজনদের আগমনে মুখরিত হয়েছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ‘বন্ধন আগামীর’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এবারের পার্টনার্স মিট। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন শতাধিক ডিলার অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মনিকা নাজনীন ইসলাম, পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত, পরিচালক এসএম আবদুল ওয়াদুদসহ যমুনা ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, পারস্পারিক সংযোগ, অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় সব ডিলারদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি সব ডিলারদের সফলতা ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে ভিডিও বার্তায় বলেন, যমুনা ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে আপনাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে আগামীর ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাবেন।
যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মনিকা নাজনীন ইসলাম বলেন, আমাদের যমুনা পরিবারের প্রাণ হচ্ছে গ্রাহক। আর ডিলাররা হলেন আমাদের শক্তি। আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমার বাবা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্ন ছিল দেশীয় পণ্য দিয়ে একটি বিশ্বমানের ব্র্যান্ড তৈরি করা। আমরা সেই স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যমুনা গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে গর্বের সঙ্গে ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০ বছর আগে ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো, কিন্তু এখন যমুনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করছে। এছাড়া আমরা বিদেশে রপ্তানির কার্যক্রমও শুরু করেছি।
ডিলারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের উদ্দেশে মনিকা নাজনীন ইসলাম বলেন, আপনারা আমাদের সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আর পরিশ্রমের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চাই।
যমুনা গ্রুপের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত বলেন, দেশীয় পণ্য উৎপাদন করে দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ যারা যমুনার ডিলারের দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবাই আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সারথি। এ কারণেই আপনাদের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
পরিচালক এসএম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, যমুনা গ্রুপ সবসময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আপনারা জানেন, দেশের গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন প্রতি বছর হাজারও মানুষকে সহযোগিতা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিলারদের যমুনা পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখতে আমরা ‘যমুনা ডিলার ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন শুরু করেছি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিপদগ্রস্ত ডিলার এবং তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করা।
যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পরিচালক (মার্কেটিং) সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, ডিলারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই যমুনা ইলেকট্রনিক্স দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আমরা ডিলারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পণ্যের মান, নতুন বিপণন কৌশল এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। ডিলাররা পণ্যের গুণগত মান ও গ্রাহকসেবার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের শ্রেষ্ঠ ডিলারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন।
আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ পার্টনার্স মিট যমুনা ইলেকট্রনিক্সকে দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।