Logo
Logo
×

রাজনীতি

সরকারের উপেক্ষার শিকার হওয়ায় শহিদ কন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ পিএম

সরকারের উপেক্ষার শিকার হওয়ায় শহিদ কন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

জুলাই বিপ্লবের শহিদ পরিবারগুলো একে একে হত্যা-ধর্ষণ-হামলার শিকার হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। ফলে শহিদ পরিবারগুলো ক্রমেই হতাশাগ্রস্ত ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

সংগঠনটির অভিযোগ, জুলাই বিপ্লবের শহিদ জসিমের কন্যা লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সরকারের অবহেলা উপেক্ষার প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন।

রোববার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের রাজু ভাস্কর্যে লামিয়ার ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, জুলাই গণহত্যার শহিদদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে। অথচ সেই সরকারের সময় শহিদ বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে তার মেয়ে  দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এমন ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত ছিল শহিদ কন্যা লামিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ধর্ষকদের বিচারের নিশ্চয়তার কথা জানানো। কিন্তু সরকার তাকে এমনভাবে অবহেলা ও উপেক্ষা করেছে যে বাবা হারানো মেয়েটি আত্মহত্যা করে বসেছে।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও সহকারী সদস্য সচিব ফারজায়ান আহসান কৃতিত্ব, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়া শাখার সদস্য সচিব মো: জিনাত হোসেন, সহকারী সদস্য সচিব মো: শরীফুদ্দীন, মো. জোবায়ের প্রমুখ।

সমাবেশে গালীব ইহসান বলেন, শহিদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করে সরকার ও জনগণকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, লামিয়ার পরিবার ও স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার পাশাপাশি চরিত্র হনণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন। সরকার যদি লামিয়ার পাশে দাঁড়াত এবং তাকে বিচারের আশ্বাস দিত তাহলে তার এত করুণ পরিণতি হতো না।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারগুলো একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে শহিদ জসিমের কন্যা লামিয়া আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি গতকাল দুজন জুলাই শহিদের কবরে হামলা হয়েছে। 

এ সময় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এ আহ্বায়ক সারা দেশে নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সীমান্তে নতুন করে ভারতীয় বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আর কোনো সীমান্ত হত্যা মুখ বুঝে মেনে নেওয়া যাবে না। বরং আমাদের বিজিবিকে পালটা গুলি চালাতে হবে।

ফজলুর রহমান বলেন, লামিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চলবে না। তার পরিবারের নিরাপত্তা ও সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো জুলাই শহিদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে যেন জুলাই শহিদ পরিবারগুলো নিরাপদ থাকে।

শহিদ কন্যা লামিয়া

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম