
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৯ এএম
সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা যাবে না: নুর

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ ও সিঙ্গাইর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৯ এএম

আরও পড়ুন
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, অযথা নির্বাচন আগে, না সংস্কার আগে; নির্বাচন পরে না সংস্কার পরে- এই বিতর্কের দরকার নেই। রাষ্ট্র সংস্কার করেই নির্বাচন হবে এটাই এই সরকারের ম্যান্ডেড। সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার কমিশনগুলোর আলাপ-আলোচনা চলবে। সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা যাবে না। পুরস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে চলছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক এসব কথা বলেন। সিঙ্গাইর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণঅধিকার পরিষদের উপজেলা শাখা এই জনসভার আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যবসা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের একক ঠিকাদার হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কেউ ব্যবসা করবেন না। এই জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের বা গোষ্ঠীর বা কোনো একক ব্যক্তির নেতৃত্বে বা এককভাবে ডাকে হয়নি। এটি গণআন্দোলন। দলমত নির্বিশেষ সব শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল বলেই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের অনেক তরুণ নতুন রাজনীতির কথা বলে সেই পুরনো পথে হাঁটতে চায়। তারা পেশিশক্তি, কালো টাকার রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারের দিকে যেতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কিভাবে হবে, ক্ষমতার পালাবদল কিভাবে হবে, তার একটি শান্তিপূর্ণ পথ বের করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জাতীয় পরিষদ গঠনের কথা আমরা বলেছি। সেই পরিষদের সদস্য হবে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কারা আসবেন, নির্বাচন কমিশনে কে নিয়োগ পাবেন, পুলিশ প্রধান কে হবেন।
তিনি যোগ করেন, আমরা বলেছি জাতীয় সংসদ নির্বাচন চার বছর পর পর হোক। একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান হতে পারে না।
সিঙ্গাইর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আলামিন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, জেলা শাখার সভাপতি হাসান আলী, গাজীপুরের সাবেক আহ্বায়ক পাঠান আজাদ, যুব অধিকার পরিষদের ঢাকা উত্তরের সভাপতি গাজী রুবেল রানা, ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সবুজ হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. তোহা, গণ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আব্দুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জাহিদুর রহমান বিশ্বাস প্রমুখ।