
প্রিন্ট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৯ এএম
ছাত্রজনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে শহিদ হতেও প্রস্তুত: শিবির সভাপতি

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম

আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে- অন্যায় অবিচার জুলুম চাঁদাবাজি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো; কিন্তু কেউ কেউ এ স্পিডকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতালোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে আবির্ভূত ও ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তা কখনো সফল হবে না। আবারও দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদা ভীরু নির্ভীক তাকওয়ার গুণাবলীসম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহিদ হতে প্রস্তুত আছে।
বুধবার বিকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ শাখার আয়োজনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহিদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী করেন, তাহলে শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চাইতেও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে। ইতিহাস এটাই বলে এটাই সত্য।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। ছাত্রশিবির শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারের আয়োজন করলে প্রশাসন নিষিদ্ধ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারের আয়োজন করলে শিবির নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছিল। গত বছর ইফতার নিষিদ্ধ করতে গিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় গণইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের স্পিড তৈরি হয়েছিল। বিগত আওয়ামী শাসনামলের ইফতার ও ঈদ আর ৫ আগস্টের পর এবারের ইফতার ও ঈদ অনুষ্ঠানের পার্থক্য নিশ্চয়ই জনগণ বুঝতে পেরেছে।
নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসূল ফুয়াদের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদ্রাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলা উদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্র শিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।
এর আগে তিনি ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহিদ পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন।