
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
ঈদযাত্রাকে নিরাপদ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে : সেলিম উদ্দিন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পিএম

আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় ন্যায়-ইনসাফ, মানবিক মূল্যবোধভিত্তিক শোষণ, বঞ্চনা, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
শুভেচ্ছা বাণীতে মহানগরী উত্তর নেতারা বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও তাক্বওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে।
মূলত, রমজান হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি, আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের উত্তম মাধ্যম। এর মধ্যেই রয়েছে আর্ত-মানবতার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ ও মুক্তি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর আমাদের মাঝে আবারো ফিরে এসেছে পবিত্র ‘ঈদুল ফিতর’। ঈদের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে আর্ত-মানবতার কল্যাণ এবং বিপন্ন ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরে গণমানুষের কল্যাণ ও দারিদ্র বিমোচনে যাকাত ও সাদাকাতুল ফিতর যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
নেতৃদ্বয় ঈদুল ফিতরের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে আর্ত-মানবতার কল্যাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও রাষ্ট্রের প্রায় সকল সেক্টরেই তাদের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় থেকে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বতী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে অন্য বারের তুলনায় এবার দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও নানান কারণে পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক ছিলো না। সর্বোপরি ফ্যাসীবাদের দোসররা পুরো রমজান ধরেই দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করার নানাবিধ অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্য অটুট থাকায় তারা খুব একটা সফল হতে পারেনি।
তার আরও বলেন, এবার ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে চললেও ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রাও পুরোপুরি নিরাপদ করা যায়নি।
পরিবহণ সঙ্কট ও বাড়তি ভাড়াসহ নানাবিধ কারণে এখন পর্যন্ত জনগণের ঈদ যাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হয়ে ওঠেনি। তাই ফ্যাসীবাদ মুক্ত পরিবেশে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও ঈদকে আনন্দঘন করতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি জোরদাবি জানান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সকল শ্রেণির নগরবাসীর প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।