বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সাত মাস পার হলেও এখনো শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কোনো প্রত্যাশাই পূরণ হয়নি। রাজনীতির ডামাডোলে শ্রমজীবীদের বাঁচার দাবিগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। শ্রমজীবী সাধারণ মানুষকে কেবল আশ্বাসেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

সোমবার বিকালে কামরাঙ্গীরচরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি ২৫ রোজার মধ্যে পোশাকশ্রমিকসহ শ্রমজীবী মেহনতিদের সব বকেয়া বেতন ভাতা ও উৎসব বোনাস পরিশোধ করতে মালিক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

সাইফুল হক বলেন, মানুষ সরকারকে দুর্বল ও অকার্যকর মনে করায় নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে। গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসেও মানুষের জীবনে স্বস্তি আসেনি। এ অবস্থা চলতে দিলে জনগণের জানমাল আরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সরকারের ভালো উদ্যোগও কাজে দেবে না। 

তিনি সরকারকে তাদের এজেন্ডা সীমিত করে অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণের আহ্বান জানান। তিনি দড়ি নিয়ে বেশি টানাটানি না করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর নারীর নিরাপত্তা গুরুতর হুমকি মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। নারী বিদ্বেষী প্রচারণা তাদের নিরাপত্তা আরও বিপন্ন করে করে তুলছে। তিনি ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন এবং নারীর অধিকার ও মর্যাদাবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ জোরদার করার ডাক দেন।

পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মীর রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, স্থানীয় সংগঠক ফরিদ হোসেন, মোহাম্মদ কাবিলা, মোহাম্মদ কবির, দোলন মিয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল সাব্বির হোসেন প্রমুখ।