Logo
Logo
×

রাজনীতি

ছাত্র অধিকার সভাপতি

কোটার সিদ্ধান্ত জুলাই চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৩ পিএম

কোটার সিদ্ধান্ত জুলাই চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি স্কুলে ভর্তিতে কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। আমাদের জুলাইয়ের যে চেতনা, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক অবস্থানে গিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়েদের পাশাপাশি অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য মোট আসনের ৫ শতাংশ কোটার বিধান রেখেছে সরকার।

রোববার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের জেরে সরকার পরিবর্তনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কোটা বাতিলের দাবি জানান বিন ইয়ামিন মোল্লা। সেইসঙ্গে জুলাই শহিদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহত পরিবারের পুনর্বাসনে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে প্রথম কোটার প্রয়োগ হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্র কোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে বলা হয় উনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি। পরবর্তীতে আমরা দেখলাম যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল সকল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিত প্লাটফর্ম। সেখান থেকে সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর পদধারী নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চালু করা হয় সমন্বয়ক কোটা। এরপরে আরেকটি কোটা চালু করা হয়, সেটি হল বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি কোটা।

বিন ইয়ামিন বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে কোনো প্রোগ্রাম কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না। যারা এই কাজ গুলো করেছে তারাই এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতা। আমরা এখন দেখছি, সমন্বয়ক কোটায় কীভাবে বড় বড় জায়গায় চলে যাওয়া যায়। মংলা কর্মচারীদের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া যায়। চাঁদাবাজির কথাও শোনা যায়।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক ছানাউল্লাহ হক বলেন, কোটাকে কবর দেওয়ার মাধ্যমে এ সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য আবার কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই না আপনারা একই খেলা খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে স্কুলে ভর্তিতে কোটা বাতিলসহ জুলাই আন্দোলনে শহিদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহত পরিবারের পুনর্বাসনে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি তুলে ধরা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য সচিব রাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম