নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনা ২০ দিনের আন্দোলনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর মানুষ জীবন দিয়েছেন, ভালো কিছু পাবার জন্য। সেখান থেকে এ দেশের রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভালো কাজ করলে ভালো হবে আর মন্দ করলে শেখ হাসিনার মতো হবে।

তিনি বলেন, প্রশাসন জনগণের সেবক অথচ পুলিশ এখনো কোনো বিনিময় ছাড়া মামলা নেয় না।

শুক্রবার বিকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে শহিদ মীর মুগ্ধ স্কয়ারে উপজেলা নাগরিক ঐক্য আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

নাগরিক ঐক্যর সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তোফার সভাপতিত্বে ও পৌর নাগরিক ঐক্যর সভাপতি রুহুল আমিনের পরিচালনায় ও সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, উপজেলা নাগরিক ঐক্যর সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত বাদশা, জেলা নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী মতিউর রহমান, নাগরিক ঐক্য নেতা সাইদুর রহমান সাগর, এনামুল হক, সৈকত বিদ্যুৎ, মাহবুব মোর্শেদ হীরা, অমিত হাসান, হারুনুর রশিদ, জেলা নাগরিক যুব ঐক্যর আহবায়ক আরিফুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, আবদুর রহমান, উপজেলা যুব ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ তুষার, সৈকত আহম্মেদ প্রমুখ।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৫ বছর বিএনপির সঙ্গে থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। গ্রেফতার করে ক্রসফায়ারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা এটা করতে সাহস করেনি। এরপর বিনা অপরাধে দুই বছর জেল খেটেছি।

তিনি বলেন, বিএনপির যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। তারা যখন ক্ষমতায় যাবেন, তখন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মানুষের কথা শুনবেন। সংস্কার করবেন, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করবেন। বিএনপি দলের মধ্যে বাড়াবাড়ি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত দেড় হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শিবগঞ্জে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার সময় উপজেলা নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক শহিদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করা হলো। তিনি এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি মামলা নেয়নি। অথচ বিএনপির এক নেতার বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত মামলা নিয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা দুটি হবে না হলে একটিও হবে না। মান্না তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার দাবি করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্নাকে শিবগঞ্জে আসতে দেওয়া হবে না- বিএনপি নেতার এমন হুঙ্কারের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাড়ি শিবগঞ্জ, তাই আমি এখানে এসেছি। আমি যদি হুঙ্কার দেই তাহলে শিবগঞ্জে ভূমিকম্প হবে।

তিনি আরও বলেন, শিবগঞ্জের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফোন দিয়েছিলাম। পরে তিনি ফোন করলে তাকে সব ঘটনা বলা হয়েছে। তিনি বিএনপি দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসে সমঝোতা করার পরামর্শ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, দেশে সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে মার্শাল ল হবে। তখন মানুষের বাকস্বাধীনতা থাকবে না। তাই সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে।