ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের স্থান চালু
এই অর্জনের পথ সহজ ছিল না: সাদিক কায়েম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের নির্দিষ্ট স্থান উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি ছেলেদের নামাজের জায়গার কার্পেট পরিবর্তন এবং অজুখানার জায়গাও সংস্কার হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জোহরের নামাজে ইমামতির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নামাজের জায়গা উদ্বোধন করেন।
টিএসসিতে নারী
শিক্ষার্থীদের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান চালু নিয়ে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি
সাদিক কায়েম।
সাদিক কায়েমের স্ট্যাটাসটি যুগান্তর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আলহামদুলিল্লাহ,
বহুল প্রতীক্ষিত একটি দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। টিএসসিতে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা এখন
নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাশাপাশি ভাইদের নামাজের স্থানের কার্পেটও নতুন
করে পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন
করেছেন।
কিন্তু এই অর্জনের
পথ সহজ ছিল না। মাত্র এক বছর আগেও আমরা দেখেছি, কিভাবে ইসলামবিদ্বেষীদের বিষ দাঁত মুসলিম
নারী শিক্ষার্থীদেরও আক্রান্ত করেছে। তারা টিএসসিতে মুসলিম নারীদের জন্য নামাজের স্থান
তৈরির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করেছে। যারা এই মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাদেরকে বিভিন্ন ট্যাগ
দিয়ে অনলাইনে হয়রানি করা হয়েছে, অপমানিত করা হয়েছে।
কিন্তু সময়
বদলেছে। জুলাই বিপ্লব আমাদের ক্যাম্পাসে ধর্মীয় স্বাধীনতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
এখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ইসলামবিদ্বেষের কোনো জায়গা হবে না, ইনশাআল্লাহ।
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় অধিকার পাবে, কোনো হেনস্থার
শিকার হবে না, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এই অর্জন শুধু
একটি নামাজের জায়গা পাওয়ার গল্প নয়, এটি এক সংগ্রামের ইতিহাস। এই সংগ্রামে সত্য ও ন্যায়ের
পক্ষে দাঁড়ানো মানুষরা বিজয়ী হয়েছেন। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কোনো শিক্ষার্থী যেন তার
ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের শিকার না হয়।
আমরা কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি এবং যারা এই মহান উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন,
তাদের প্রতি। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন।