আজহারুলের মুক্তি ও জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে: মাসুদ সাঈদী

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
-67b4ba20290a3.jpg)
৫ আগস্ট একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল সেই প্রত্যয়ের ব্যত্যয় কেন আজহারুল ইসলামের ব্যাপারে হলো। কেন আজকেও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। তার মুক্তির দাবিতে কেন আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছে।
কেন্দ্র ঘোষিত জামায়াতের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে পিরোজপুর শহিদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাঈদী ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন আমলে ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে মৌলবাদ, সন্ত্রাস, তদন্ত কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বে। সেই কমিশনের সদস্য ছিল বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। টুপ্পুর ষড়যন্ত্রে আজকে এটিএম আজাহারের মুক্তি হচ্ছে না। মজলুম জননেতা এটিএম আজহারের মুক্তির পাশাপাশি অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করছি। এটিএম আজহারুলকে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির রায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য বলেছিল তারা নাকি দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একজন, তিন কিলোমিটার দূর থেকে আর একজন সাক্ষী, ৬ কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে এটিএম আজহারুল ইসলাম পাক সেনাদের সঙ্গে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছেন। এ রকমের গাঁজাখুরি সাক্ষীর মাধ্যমে যে বিচার পরিচালিত হয় ওই বিচারের কপালে আমরা ঝাড়ু মারি। আমরা শুধু এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করছি না। এই পচা সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছে বিচার করেছে ওই সমস্ত বিচারপতিদের ফাঁসি দাবি করছে। আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরবানি করে আমাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবেন না। আমরা কিন্তু ফোর্স করতে জানি। ৫ আগস্ট আমরা দেখেছি কিভাবে ফোস করতে হয়।
এ সময় মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা পাইনি। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় ফেরত আমরা চাই না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব। আমরা আমাদের মার্কা আদায় করে নেব ইনশাল্লাহ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাঈদী ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক, সহ-সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ ও শিবিরের জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান।