অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: বুলু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
নতুন করে ভিডিও বার্তা দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম-এল) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে শেখ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ছাত্র জনতার আন্দোলনে পালিয়ে গেছে। এখন আবার ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার জন্য শেখ হাসিনার জন্য আরেকটি আদালত গঠন (বিচারের মুখোমুখি) করা উচিত। শেখ হাসিনার বিচার না হলে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না। ভারতে বসে তিনি যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন, তার জন্য ভারতকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা জনগণ মেনে নেবে না। ৯০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়া উচিত ছিল সরকারের। কিন্তু সরকার বলে, এখনো সময় হয়নি।
ন্যূনতম সংস্কার করে অতিশীঘ্রই নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আজকে দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। গণ অভ্যুত্থানের অংশিজন সকল রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সরকারের ৬ মাস পার হলেও মানুষ ভালো নেই। আগে সিন্ডিকেটের কথা বলে হলেও এই সরকারের সঙ্গে তো তাদের সঙ্গে সর্ম্পক থাকার কথা নয়, কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন হচ্ছে না। জনগণের নিরাপত্তা নেই। সন্ধ্যার পর নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা। বিশেষ করে গত দুই দিন থেকে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পতিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পেজের মাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের উত্থান প্রমাণ করার জন্য, সেই ফাঁদে পা দিয়েছে মানুষ। আর সরকার ভাংচুরের শিকার স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।
বত্রিশ নম্বর বাড়ির সঙ্গে রাষ্ট্র গঠনের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
চোরাগুপ্তভাবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আসার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, হাজার হাজার ছাত্র জনতা হত্যা ও ১৬ বছরের লুটপাটের জন্য শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে মধ্য ফেব্রুয়ারির ভেতর সংস্কার কমিশন গুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমরেড খান মো. নূরে আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তৃতা করেন।