বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের হয়নি: সেলিম উদ্দিন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দুই ধারায় বিভাজিত হওয়ায় স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরেও শিক্ষাকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি। ক্ষমতাসীনরা শুধু নিজেদের স্বার্থেই শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে সংস্কার করেনি। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাদেরকে সে অশুভ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বমান বজায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সমর্থ হবে।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতি গঠনের প্রধান সোপান ও অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই দেশে শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন ও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মধুবাগ মাঠে রমনা আইডিয়াল দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কালচারাল শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, হাতিরঝিল পূর্ব থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমীন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শীফট ইনচার্জ জামাল উদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আবেগ-অনুভূতি, তাহজীব- তামুদ্দন, বোধ-বিশ্বাস অনুযায়ী আমাদের জাতীয় শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে। দেশের সিংহভাগ তথা ৯০ ভাগ মানুষই ধর্মবিশ্বাসে মুসলিম। তাই আমাদের দেশের শিক্ষাকে ইসলামী আদর্শ ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতাকেন্দ্রিক অপরাজনীতি আমাদের জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জনগণের কাছে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতাসীনরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ঘুস, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে শুধুই নিজেদের আখের গুছিয়েছে। শিক্ষা সহ রাষ্ট্রের কোন সেক্টরেই কার্যকর কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সে সনাতনী এবং নেতিবাচক বৃত্তেই রয়ে গেছে।