Logo
Logo
×

রাজনীতি

চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি শুধু হাতবদল হয়েছে: সারজিস

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম

চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি শুধু হাতবদল হয়েছে: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনার সময় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও প্লট নিয়ে বাণিজ্য চলত। দুঃখের বিষয়, এখনো কেরানীগঞ্জে সেই চাঁদাবাজি ও প্লট বাণিজ্য চলছে। কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু হাতবদল হয়েছে। আপনারা সবাই একত্রিত হয়ে চাঁদাবাজদের হাতগুলো ভেঙে দিবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহিদ মিনার চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বুড়িগঙ্গা নদীর খালগুলো সম্পর্কে সারজিস আলম বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে আসার পথে দেখলাম খালগুলো ডাস্টবিনের মতো, না হয় নর্দমার মতো পরিণত হয়েছে। খালগুলো যদি সুন্দরভাবে খনন করা যেত, তাহলে হয়ত কেরানীগঞ্জ একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠতে পারত। খাল খনন ও কেরানীগঞ্জের উন্নয়নে বাজেট এসেছে। কিন্তু ভণ্ড পির ও তার মুরিদরা বাজেটের টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে। এখন সেই ভণ্ড পিরেরা অপকর্মের দায়ে জেলখানায় রয়েছে। সেখান থেকে তারা আবারও সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলছে। এসব ভণ্ড পির, যাদের নিজেদের অস্তিত্ব নেই, যারা নিজেরাও জানে না বাংলার মানুষের কত বড় ঘৃণার জায়গায় তারা রয়েছে।’

সারজিস আরও বলেন, ‘বলা হচ্ছে, এখানকার তরুণেরা বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু এই তরুণেরা যে মাঠগুলোতে খেলবেন, যে জায়গাগুলোতে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করবেন, সেই জায়গাগুলো হায়েনারা দখল করে নিয়েছে। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন গড়তে কেরানীগঞ্জে যে উপাদানগুলো প্রয়োজন ছিল, সেগুলো তারা দখল করেছে। আবার তারাই কেরানীগঞ্জে ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করছে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে কেরানীগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনারা যারা এই অভ্যুথানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা এই কেরানীগঞ্জের নেতৃত্বের হাল ধরতে প্রস্তুত থাকুন। আপনারা যদি সেই সাহস নিয়ে কেরানীগঞ্জের মাটিতে দাঁড়ান, হয়ত প্রথম দিনে আপনার সঙ্গে ১০০ জন দাঁড়াবে, কিন্তু এ সংখ্যাটা কয়েক দিনের ব্যবধানে কয়েক হাজারে পরিণত হবে। এ সংখ্যাটা কয়েক মাসের ব্যবধানে লাখে পরিণত হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ১০০ জন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে শুরু করলে অচিরেই সেটি লাখে পরিণত হবে। কিছু অর্থের বিনিময়ে আমরা যদি কারও কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিই, তাহলে সাময়িক কিছু ক্ষমতার কারণে দাসত্ববরণ করে নিতে হবে। সেই বেড়াজালে গত ১৬ বছরের মতো আবারও আমাদের বন্দি হতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হাসিবুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আল-আমিন, মিনহাজ হোসেন, জাবেদ হোসেন ও সায়মন চৌধুরী।
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম