Logo
Logo
×

রাজনীতি

এক-এগারোর পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি: আব্বাস

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৬ পিএম

এক-এগারোর পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি: আব্বাস

ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ইদানিং কথা বলার সুযোগ পেয়ে কেউ কেউ বলছে, বিএনপি নাকি ১/১১ আনার পাঁয়তারা করছে। তাদের বলছি- ১/১১ এর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করেনি। যদি এ ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের মুখ দেখবে না।

শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপিকে আওয়ামী শিবিরের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নিজের চেহারা আয়না দিয়ে দেখুন, দেশবাসীকে ঠকানোর পাঁয়তারা করবেন না। আমাদের ভারতের দালাল বা আওয়ামী লীগ বানানোর চেষ্টা করবেন না। চক্রান্ত না করে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করুন।

নতুন দল গঠন বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করে মির্জা আব্বাস বলেন, নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি হিংসা করে না। গণতান্ত্রিক ধারায় দল পরিচালনা করুন, বিএনপি আপনাদের স্বাগত জানাবে। তবে যারা বিএনপিকে ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন তাদের পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, আরাফাত রহমান কোকোকে হত্যা করা হয়েছে। একদিকে মা অসুস্থ, অন্যদিকে ভাইকে শারীরিকভাবে নিষ্ঠুরতম অত্যাচার করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তখন কোকোকে অসুস্থ অবস্থায় দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। আর লাশ হয়ে দেশে ফিরেন।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে শহিদ জিয়া এবং তার পরিবারের ইতিহাস বিরল। খালেদা জিয়া তার স্বামী হারিয়েছেন, সন্তান হারিয়েছেন। বিনাদোষে সাত বছর বন্দি ছিলেন। আজকে অনেকে জিয়া পরিবারের অবদানকে অবজ্ঞা করছেন। এই অবজ্ঞা শুধু জিয়া পরিবারকে নয়, দেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া মানে গণতন্ত্রকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, আমার ১১ বছর জেল হয়েছে, আমার স্ত্রীর ১৬ বছর, আমার ছোট ভাইয়ের আট বছর সাজা হয়েছে। এমনি করে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকে বিদেশে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন। এতে দেশের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। আপনাদের যে প্রজ্ঞা আছে, তা দেশের কাজে লাগান। অনেকে বলেন— নতুন দল গঠিত হচ্ছে বিএনপি তা জেলাসি করছে। যারা এগুলো বলছেন, তারা জাতির শত্রু। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল। যে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই স্বাগত জানায়। তবে জনসমর্থন আদায় করতে হলে জনগণের পালস বুঝতে হবে। আজকে অনেকে বলছেন— ৫ আগস্ট যারা এনেছেন, সব কিছুর অধিকার তাদের। যারা ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছে, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে; তাদের কি হবে? আমি নিজেও তো ১৩ বার জেল খেটেছি। আমাদের কোনো অবদান নেই! এসব বলে জাতির মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।

কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে আব্বাস বলেন, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল। সুযোগ পেলেই টোপ করে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুজ্জামান মেহেদী, মাহবুব আলম, মসিউর রহমান বিপ্লব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব এহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন আলী, সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিল আউয়াল, মৎসজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম